ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

উলিপুরে বন্যার পানি কমলেও দেখা দিয়েছে ভাঙন
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪, ২:৪৬ পিএম  (ভিজিট : ২২৪)
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বন্যার পানি কমলেও নদী ভাঙনে নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার এক প্রান্তে তিস্তার বন্যা আরেক প্রান্তে ধরলায় চলছে তীব্র ভাঙন। গত চার দিনে ধরলার ভাঙনে উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে কমপক্ষে ৩৫ থেকে ৪০টি পরিবারের বসতি ধরলার গর্ভে বিলীন হয়েছে। সোমবার রাতে নদী গর্ভে চলে গেছে এলাকার প্রান্তিক মানুষের চিকিৎসার প্রথম আশ্রয়স্থল খুদিরকুটি আকেল মামুদ কমিউনিটি ক্লিনিক। 

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত চারদিন ধরে ধরলা নদীর তীব্র ভাঙন চলছে। ভাঙনে একের পর এক বসত ভিটা নদী গর্ভে  চলে যাচ্ছে।

খুদিরকুটি, রসুলপুর ও কবিরাজ পাড়া গ্রামের কমপক্ষে ৩৫ থেকে ৪০ টি পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে চলে গেছে। সোমবার রাতে ধরলার ভাঙনে নদীগর্ভে চলে গেছে ৪ নং ওয়ার্ডের খুদিরকুটি আকেল মামুদ কমিউনিটি ক্লিনিক। ধরলার তীব্র স্রোত আর আগ্রাসী ভাঙনে ঝুঁকিতে আছে  ইউনিয়নের একমাত্র মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুদিরকুটি আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়সহ বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র। ভাঙনের তীব্রতায় ঝুঁকিতে থাকা অর্ধশতাধিক পরিবারের হাহাকার তৈরি হয়েছে। অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বসতভিটা থেকে ঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।

বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, ভাঙনে সব শ্যাষ হয়ে যাইতেছে। আলামিন বাজার থেকে খুদিরকুটি বাজার হয়ে কবিরাজপাড়ার শেষ পর্যন্ত তীব্র স্রোত আর ভাঙন। ঘর বাড়ি, স্কুল, মসজিদ কিছুই থাকতেছে না। ভাঙন ঠেকাতে না পারলে এলাকা শেষ হয়ে যাবে।

ওই এলাকার বাসিন্দা নুর আলম বলেন, গেলো রাতে আমার বসত ভিটে চলে গেছে। কমিউনিটি ক্লিনিকটাও গেল। একের পর এক বসত ভিটা  নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। কোন প্রতিকার নাই। 

সাবেক ইউপি সদস্য মহুবর রহমান বলেন, খুব ভাঙন শুরু হয়েছে। যেভাবে ভাঙতেছে তাতে আশ্রয়কেন্দ্র আর স্কুলটাও থাকবে না। শতাধিক পরিবার ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। এই মুহূর্তে কিছু জিও ব্যাগ ফেললে কমপক্ষে স্কুল আর আশ্রয় কেন্দ্রটা রক্ষা করা যেত। 

বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া জানান, তার পরিবারের সদস্যরাও ভিটে হারাতে বসেছেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি নিজেও তার বসতি সরাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। 

উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কে অতিসত্বর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। 

কুড়িগ্রাম পানির উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ভাঙনের খবর পেয়েছি। ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ পাঠিয়েছি।


সময়ের আলো/এএ/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close