প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:৪৩ এএম (ভিজিট : ৩৮৮)
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অবস্থিত লালন আনন্দধামে রোববার গভীর রাতে আগুন দিয়েছে এক দল দুর্বৃত্ত। এ সময় ভাঙচুর করা হয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভাস্কর্য। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান জানান, আমি বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এই ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোমবার উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়েনর মোটরা এলাকায় অবস্থিত লালন আনন্দধামে গিয়ে দেখা যায়, লালন আনন্দধামে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আনন্দধামে থাকা লালন সাঁইয়ের ছবি এবং শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিতেও আগুন দেওয়া হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ঈশ^রচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভাস্কর্য। ভস্মীভূত হয়েছে বেশ কিছু মূল্যবান গ্রন্থ ও জার্নাল। অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে গেছে হারমনিয়াম, একতারা, দোতারা, বায়া, জুড়ি, গিটারসহ বেশ কিছু বাদ্যযন্ত্র।
এ বিষয়ে আনন্দধামের প্রতিষ্ঠাতা কবি জাহিদ হাসান বলেন, আমি সকালবেলা লালন আনন্দধামে গিয়ে দেখি ধামে আগুন দেওয়া হয়েছে। আমার ধারণা রোববার গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা আনন্দধামের দেয়াল টপকে ঢুকে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এরপর বিষয়টি আমি প্রশাসনকে অবগত করি।
এই বিষয়ে লালন আনন্দধামের সভাপতি দীনেশচন্দ্র রায় বলেন, আমি সকালে কবি জাহিদের মাধ্যমে জানতে পারি যে লালন আনন্দধামে এক দল দুর্বৃত্ত ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দিয়েছে। সম্ভবত রোববার গভীর রাতে যখন বিদ্যুৎ ছিল না তখন এক দল দুর্বৃত্ত আনন্দধামের দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
প্রসঙ্গত, লালন আনন্দধাম কবি জাহিদ হাসান ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর থেকেই ভাঙ্গা উপজেলার সাংস্কৃতিক চর্চার তীর্থস্থান হয়ে উঠে এই লালন আনন্দধাম। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হয় প্রতিষ্ঠাটি। যেমন-ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধা বৃত্তি প্রদান, শীতবস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন কবি সাহিত্যিকদের স্মরণে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে লালন আনন্দধাম। কয়েক দিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লালন আনন্দধাম নিয়ে উসকানিমূলক পোস্ট করা হয়েছিল।
সময়ের আলো/আরএস/