ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

গণশৌচাগার পরিকল্পনা ও বাস্তবতার ফারাক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪, ১:১৯ এএম  (ভিজিট : ২৩০)
স্যানিটেশন মানুষের অন্যতম চাহিদা। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবারই আছে নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ স্যানিটেশনের অধিকার। স্যানিটেশন সুবিধার ক্ষেত্রে অনেক সমাজেই বিভিন্ন ধরনের ট্যাবু কাজ করে। উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশে এ সমস্যাগুলো বেশি দেখা যায়। যদিও নারীরা পানি, পয়োনিষ্কাশন ইত্যাদি স্যানিটেশন সুবিধার সবচেয়ে বড় অংশীজন, তবু তাদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। অনগ্রসর সমাজের প্রচলিত সামাজিক নর্মস বা নিয়মের কারণে শৌচাগার ব্যবহারের ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদের চেয়ে পিছিয়ে থাকে। শৌচকর্মের মতো নিতান্ত প্রাকৃতিক ও স্বাভাবিক একটি বিষয়েও নারীরা সংকোচবোধ করে যার ফলে তারা কিডনি ও জননতন্ত্রজনিত রোগের ঝুঁকিতে থাকে। অথচ জল সংগ্রহ থেকে শৌচাগার রক্ষণাবেক্ষণের মূল দায়িত্ব পালন করে পরিবারের নারী ও কন্যারা।

এখনও এই উপমহাদেশে, এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দেশে শৌচাগার বা টয়লেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে নারীদের বিভিন্ন ধরনের বাধার সম্মুখীন হতে হয়। অথচ একজন পুরুষের তুলনায় একজন নারীর জন্য শৌচাগার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা বেশি। বিশেষ করে গর্ভকালীন সময়ে একজন নারীর টয়লেটের প্রয়োজন অনেক বেড়ে যায় আবার মাসিককালীন সময়েও সে প্রয়োজন বেড়ে যায় অনেকটা। কিশোরী মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসিককালীন স্বাস্থ্যসেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এ সময় তাদের সংকোচ যেমন বেশি থাকে, বয়োসন্ধিকালীন নানা ধরনের জটিলতাও থাকে। সুতরাং শৌচাগার সুবিধা লাভ নারীর অন্যতম অধিকার। তবে অনেক দেশে, অনেক সমাজে, বিশেষ করে অনগ্রসর দেশগুলোতে দেখা যায় নারীরা স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে এক ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়। বেশ কয়েকটি দেশে মাসিককালীন সময়ে নারীদের বাড়ির টয়লেট ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না, আবার অনেক জায়গায় তাদের বাড়িতে থাকাই নিষিদ্ধ হয়ে যায় এ সময়টিতে। সুতরাং সব মিলিয়ে দেখা যায় পৃথিবীর অনেক দেশেই টয়লেটে নারীদের অধিগমন পুরুষদের তুলনায় কম। অবশ্য অপেক্ষাকৃত শিক্ষিত ও বর্ধিষ্ণু পরিবারে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। আর শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে এ অবস্থার অনেকটা উন্নতি দেখা যায়।

এত গেল গ্রামাঞ্চল, মফস্বল বা শহরের নিম্নবিত্তের আবাসন এলাকায় নারীর শৌচাগার ব্যবহারের বাস্তব চিত্র। শহুরে নারীরা গ্রামাঞ্চলের নারীদের তুলনায় ঘরের বাইরে বের হয় বেশি। অনেকেই চাকরি বা ব্যবসার কাজে জড়িত থাকেন। যাতায়াতের রাস্তায় তাদের টয়লেট ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রেও দেখা দেয় প্রতিবন্ধকতা। আমাদের দেশের শহরগুলোতে গণশৌচাগারের সংখ্যা নিতান্ত নগন্য। নিয়মানুযায়ী প্রতি ২ হাজার নাগরিকের জন্য একটি গণশৌচাগারের ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক। আমাদের দেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য সেটি ৫ হাজারে উন্নীত করা যেতে পারে। কিন্তু আমাদের রাজধানী ঢাকার ক্ষেত্রে এ অনুপাত ১ লাখ ২০ হাজার (দুই সিটি করপোরেশনের পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা হিসাব করে)। সুতরাং গণশৌচাগারের ব্যবস্থা কতটা ভয়াবহ তা সহজেই অনুমেয়। এ ক্ষেত্রে আমি বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত শৌচাগারগুলোকে হিসাবের বাইরে রাখব কারণ প্রাথমিকভাবে এটি সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব। কারণ জনবান্ধব নগরে নাগরিক সুবিধা হতে হবে জেন্ডার, সেক্স, শ্রেণি, গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার কাছে সহজগম্য ও সহজলভ্য। সেদিক থেকে আমরা কোন অবস্থানে আছি তা সহজেই অনুমেয়। আর নারীদের জন্য উন্নত ব্যবস্থা যে নেই তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

প্রায় ২ কোটি মানুষের এ রাজধানী শহরে গণশৌচাগারের সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য। সমীক্ষা মোতাবেক দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে পাবলিক টয়লেট রয়েছে মাত্র ১৪৬টি। ৩৬টি নতুন ওয়ার্ডে নেই কোনো পাবলিক টয়লেট। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ৬০ লাখ মানুষের জন্য গণশৌচাগার আছে ৯৪টি যার মধ্যে ২৩টি বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। বাকি শৌচাগারগুলোর বেশিরভাগই সাধারণের ব্যবহারোপযোগী নয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭০টি পাবলিক টয়লেটের মধ্যে ৫২টি পরিচালিত হচ্ছে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় তার মধ্যে আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াটার এইডও আছে। গণশৌচাগারের সংখ্যাই যে শুধু অপ্রতুল তা নয়, বরঞ্চ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী। যদিও বলা হয়ে থাকে আমাদের স্যানিটেশন কভারেজ ৬৪ শতাংশ, নিরাপদ স্যানিটেশন ৩৬.৪ শতাংশ, খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ ১ শতাংশ তবুও খোদ রাজধানীতেই আমরা একটি ভিন্ন চিত্র দেখতে পাই।

সংখ্যার অপ্রতুলতা ছাড়াও অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিক টয়লেটগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী থাকে। হয় সেগুলোর অবস্থান এমন জায়গায় হয় যে নারীদের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুুখীন হয় অথবা এতটাই অস্বাস্থ্যকর যে, সেই টয়লেট ব্যবহারের দরুন তাদের রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। এসব কারণে দেখা যায় প্রখর রোদে পথচলা নারীটিও পর্যাপ্ত পানি পান করা থেকে বিরত থাকেন। আন্তঃনগর যাতায়াতের ক্ষেত্রে এ চর্চা আরও প্রকট।

গণশৌচাগার নির্মাণের পরিকল্পনা, নকশা ও নির্মাণকাজ সমাধা-এসব নিয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নির্মাণ নির্দেশিকাও। পুরুষদের জন্য টয়লেট নির্মাণের নির্দেশিকা আছে। কিন্তু নারী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের জন্য রয়েছে কিছু বিশেষ নিয়মনীতি।

এ ছাড়া টয়লেটের ভেতরে থাকতে হবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। মাসিককালীন স্বাস্থ্যবিধি পরিচালনার (মেন্সট্রুয়াল হাইজিন ম্যানেজমেন্ট) ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ ছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে শিশুদের ডায়াপার বদলের জায়গা (চেঞ্জিং কর্নার) এবং টয়লেটের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে স্তন্যপান করার জায়গা (নার্সিং কর্নার) ব্যবস্থা রাখতেও বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) ২০২২ এ ধরনের টয়লেটের নকশা ও নির্মাণ সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া আছে। কিছু সাধারণ নির্দেশনা উল্লেখ করা যেতে পারে, যেমন-প্রত্যাশিত সংখ্যক ব্যবহারকারীর জন্য টয়লেট স্টল এবং ওয়াশবেসিনের সংখ্যা অবশ্যই পর্যাপ্ত হতে হবে; টয়লেট স্টল অবশ্যই ঘেরা দেওয়া এবং ভেতরে থেকে লক করা দরজা থাকতে হবে; টয়লেট স্টলগুলো অবশ্যই যথেষ্ট বড় হতে হবে যাতে ব্যবহারকারীরা আরামে চলাফেরা করতে পারে, টয়লেট স্টলে অবশ্যই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য গ্র্যাব বার এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে; ওয়াশবেসিনে অবশ্যই আয়না এবং সাবান রাখার ব্যবস্থা থাকতে হবে; স্যানিটারি ন্যাপকিন ফেলার জন্য একটি পৃথক এলাকা থাকতে হবে।

শৌচাগারের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ সেসব নির্দেশনা মেনে, স্যানিটেশন সংক্রান্ত জাতীয় নীতিমালার আলোকে নিজেদের আলাদা নির্দেশিকা ও কৌশলপত্র তৈরি করে নিয়েছেন এবং সে অনুযায়ী কাজ করছেন। মূলত সিটি করপোরেশন এলাকার পাবলিক টয়লেট তৈরি সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব হলেও পৌরসভাগুলোর ক্ষেত্রেও দায়িত্ব পালন করে থাকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর (ডিপিএইচই)। তবে যে সংস্থাই কাজ করে থাকুক, আজকাল অনেক বিষয় বিবেচনা করে শৌচাগার নির্মাণ করা হয় যা অতীতে একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া হতো। উপরোক্ত নির্দেশিকাগুলো তো মানা হচ্ছেই এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কিছু বিষয়ও। যেমন-মাসিককালীন স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রতিটি টয়লেটে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবস্থা রাখা হয়। এ ছাড়া টয়লেটের ভেতরে নারীরা যেন ব্যাগ ঝুলিয়ে রাখতে পারে সে জন্য হুকের ব্যবস্থা রাখা হয়। ন্যাপকিন পরিবর্তনের জন্য পাটাতন, তাক (শেলফ) ইত্যাদির ব্যবস্থাও করা হচ্ছে আজকাল। ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন যত্রতত্র ফেললে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই আজকাল পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে শৌচাগার এলাকার ভেতরেই কীভাবে সেগুলোকে নির্মূল (ডিজপোজ) করে ফেলা যায়।

উপজেলা সদর, ইউনিয়ন এমনকি গ্রামের স্কুলগুলোতেও কিশোরী মেয়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপরোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলার প্রবণতা শুরু হয়েছে, যা তাদের প্রজনন স্বাস্থ্যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সহায়ক। সাধারণত দেখা যায়, মাসিককালীন সময়ে কিশোরীরা টয়লেটে যাওয়া থেকে বিরত থাকে। হয় তারা কম পানি পান করে অথবা প্রয়োজন হলেও টয়লেটে যায় না। সরকারি সংস্থা, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় এনজিও, জাতিসংঘের বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা যেমন বিশ্বব্যাংক, ইউনিসেফ ইত্যাদি তারা বিভিন্ন সময়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। এতে করে মেট্রোপলিটন শহরের বাইরেও অন্যান্য বিভাগীয় ও উপজেলা সদরের দৃশ্যপটে পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। শৌচাগার ব্যবহার ও মাসিককালীন প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সংকোচ অনেকটাই কাটতে শুরু করেছে এ দেশের নারী ও কিশোরীদের। এখন প্রয়োজন পর্যাপ্ত ও মানসম্পন্ন শৌচাগার।

স্থানের সংকুলান আমাদের জন্য একটি মুখ্য সমস্যা হলেও পাবলিক টয়লেট কমপ্লেক্স নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকারি অফিসগুলো যেমন ল্যান্ড শেয়ারিং বা ভূমি বণ্টনের দিকে যেতে পারে, তেমনি সরকারও পারে ব্যক্তিগত সম্পত্তি থেকে ভূমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী অধিগ্রহণ করতে। ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে এ সেক্টর নিয়ে কর্তৃপক্ষকে মনোযোগ দিতে হবে ও সে লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা সাসটেইঅ্যাবনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলের ৬ নম্বর লক্ষ্য বা গোল এ বলা হয়েছে ‘সবার জন্য স্যানিটেশন ও জলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে’ এবং ৫ নম্বর লক্ষ্য বা গোল এ বলা হয়েছে ‘সব ক্ষেত্রে নারী ও মেয়ে শিশুদের অন্তর্ভুক্তি ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে’। এর সঙ্গে ক্রসকাটিং হিসেবে চলে আসছে টেকসই নগর ও কমিউনিটি এবং জলবায়ু পরিবর্তন। যেকোনো নগর বা সম্প্রদায়ের গণশৌচাগারের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হলে জনস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে নগরগুলোকে আরও টেকসই করে গড়ে তোলা যাবে। আর টেকসই নগর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রে সফলভাবে সক্ষম হবে। তাই এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অন্যতম নিয়ামক হলো স্যানিটেশন সেবায় নারীর সর্বোচ্চ অন্তর্ভুক্তি।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সব নাগরিকের জন্য স্যানিটেশন সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে বিভিন্ন নীতিমালা ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এখন প্রয়োজন সেসব নীতিমালার যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশের গণশৌচাগার বা পাবলিক টয়লেট দৃশ্যপটে পরিবর্তন নিয়ে আসা। এ পরিবর্তন যত দ্রুত সম্ভব হবে, জনসাধারণের জীবনমান তত দ্রুত উন্নত হবে।


স্থপতি ও পরিকল্পনাবিদ

সময়ের আলো/আরএস/





https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close