প্রকাশ: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৭:২২ পিএম (ভিজিট : ১২৬)
উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে গত তিন দিন ধরে কুড়িগ্রামের ধরলা ব্রহ্মপুত্র দুধকুমার নদের পানি সমতলে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। তবে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছিল রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষজন। সকাল থেকে পানি কমে যাওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরেছে। তবে পানি কমার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙনের।
কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকাল ৯ টার তথ্য মতে, জেলার তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি কমে বিপদসীমার ২৯.৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ধরলা নদীর তালুক শিমুল বাড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ২৯.৮৭ সেন্টিমিটার ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ২০.৯৮ ও দুধকুমার নদে নুন খাওয়া পয়েন্টে ২৩.৭৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সবগুলো নদ নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও নতুন করে দেখা দিয়েছে ভাঙন।
রাজারহাট গতিয়াশাম এলাকার মো. আব্দুল হাই বলেন, গত দুদিন ধরে তিস্তার পানি ঢুকে তিস্তার চরের বাদাম, সবজির ক্ষেত ও ধান ক্ষেত তলিয়ে গেছে। তবে পানি দ্রুত নেমে যাওয়ার কারণে সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হলেও ধান ক্ষেতের তেমন ক্ষতি হবে না। তবে পানি কমার সাথে সাথে নদী ভাঙনের মুখে পড়েছি। তিস্তা নদীতে পানি বাড়লেও ভাঙে, কমলেও নদী ভাঙন শুরু হয়।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের কৃষক মো. কামাল হোসেন বলেন, গত দু’তিন দিন ধরে ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়েছে। আজও পানি বাড়তেছে। পানি বাড়া নিয়ে আমাদের আতঙ্ক নেই কিন্তু নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এ তিনদিনে চর যাত্রাপুর গ্রামের প্রায় ৮-১০টি ঘর বাড়ি নদীতে চলে গেছে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দু’তিনদের মধ্যে আবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানান আবহাওয়া অফিস।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, তিস্তা নদীর গতিয়াশাম ও উলিপুর একটি স্কুল নদী ভাঙনের মুখে পড়ার খবর পেয়েছি। ওসব এলাকায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সময়ের আলো/আরআই