প্রকাশ: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫:৫২ পিএম (ভিজিট : ২৭৪)
নেপালের বন্যার জেরে ভারতের বিহার রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী এলাকার কোশী, গণ্ডক এবং বাগমতী নদীর ধারে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে তীরবর্তী এলাকাগুলোতে। ঘরছাড়া হয়েছেন প্রচুর মানুষ। বিঘার পর বিঘা চাষের জমি পানির তলায়।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সিতামারিতে মধকুল গ্রামের কাছে বাগমারির নদীবাঁধ ভেঙে গিয়েছে। অন্য দিকে পশ্চিম চম্পারনের বাল্মিকী ব্যাঘ্র প্রকল্পের কাছে গণ্ডক নদীর বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। যার ফলে বিহারের ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভিতরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
বিহারের পানিসম্পদ দফতর জানিয়েছে, বাগমারি নদীতে অপ্রত্যাশিত পানির চাপের কারণে সীতামারি, শেওহর জেলায় নদীর উভয় তীরে বেশ কিছু জায়গায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও সেগুলো সঙ্গে সঙ্গে মেরামতের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জলসম্পদ দফতর।
তবে বিহারের ছোট ছোট নদীগুলোতে পানিস্তর কিছুটা নামতে শুরু করলেও সার্বিকভাবে বিহারের বন্যা পরিস্থিতি এখনও বেশ উদ্বেগজনক। বিহারের বড় অংশ জুড়ে এই প্লাবন পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ১৬ লাখ মানুষ। যদিও হতাহতের কোনও খবর এখনও নেই।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কোশী নদীর উপর বীরপুর বাঁধ থেকে ৬ লাখ ৬১ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে। গত ৫৬ বছরের ইতিহাসে এত পানি এক বারে ছাড়া হয়নি এই বাঁধ থেকে। এর আগে ১৯৬৮ সালে ছাড়া হয়েছিল ৭ লাখ ৮৮ হাজার কিউসেক পানি। একই ভাবে গণ্ডক নদীর উপর বাল্মিকীনগর বাঁধ থেকে ছাড়া হয়েছে ৫ লাখ ৬২ হাজার কিউসেক পানি। যা ২০০৩ সালের পর থেকে সর্বাধিক। এই দুই বাঁধ থেকে অতিরিক্ত পানি ছাড়ার কারণে পূর্ব ও পশ্চিম চম্পারণ, গোপালগঞ্জ, আরারিয়া, সুপাউল, কাটিহার, পূর্ণিয়া-সহ একাধিক জেলায় নীচু এলাকাগুলো পানিমগ্ন হয়ে পড়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বিহারের পানিসম্পদ মন্ত্রী বিজয়কুমার জানিয়েছেন, , নদী বাঁধের পরিস্থিতির উপর সর্বক্ষণ নজর রাখা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে গণ্ডক, কোশী, বাগমতি, বুড়ি গণ্ডক, কমলা বালান, মহানন্দা এবং গঙ্গার পানিস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে নেপাল ও বিহার সীমান্তবর্তী এলাকায় বেশ কিছু নদীর পানিস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।
সময়ের আলো/জেডআই