প্রকাশ: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪:৪২ পিএম (ভিজিট : ৩২৮)
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অবস্থিত ডলফিন অয়েল জেটিতে অয়েল ট্যাংকার এমটি বাংলার জ্যোতিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও একজন। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ৭ নম্বর ডলফিন জেটিতে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমটি বাংলার জ্যোতি।
দুর্ঘটনার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে জাহাজ থেকে ২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ রয়েছে আরও একজন। নিহতদের একজন ডেক ক্যাডেট বলে শিপিং করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে।
ঘটনাস্থলে আগুন নির্বাপণের কাজে অংশ নেয়া ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম কার্যালয়ে উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ সময়ের আলোকে বলেন, আগুন নেভানোর পর আমরা দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। আরও একজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তিনজনই জাহাজটির নাবিক না অন্য কেউ জানতে পারেনি। একজন জাহাজের ক্যাডেট বলে শুনেছি। বৃহদাকার অয়েল ট্যাংকার ‘এমটি ওমেরা লিগেসি’র শিপিং এজেন্ট প্রাইম ওশান ট্রেড লিমিটেডের কর্মকর্তা পিকে রায় বলেন, কুতুবদিয়ায় অবস্থিত গভীর সাগর থেকে আজ সকাল (সোমবার) ১১টার দিকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল নিয়ে লাইটার ট্যাংকারটি ভেড়ে ডলফিন অয়েল জেটিতে। লাইটার শুরুর পর জ্যোতির পাঁচ নম্বর লাইটারিংয়ের ক্রুড অয়েল ডিসচার্জ শুরুর আগেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসব ক্রুড ইস্টার্ন রিফাইনারির স্টোরেজ ট্যাংকে খালাস করার কথা ছিল। অগ্নিকাণ্ডের কারণে জাহাজ থেকে অপরিশোধিত তেল খালাস শুরু করা যায়নি। তবে ট্যাংকে রক্ষিত অপরিশোধিত জ্বালানি তেল অক্ষত রয়েছে। জাহাজটি কিছুটা সচল হলেই ইআরএলের স্টোরেজ ট্যাংকে এমটি বাংলার জ্যোতি থেকে ক্রুড খালাস শুরু হবে।
তিনি দাবি করেন, জাহাজের সামনের অংশে ট্যাংক থেকে ওপরে আগুন লাগায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে নাবিক ক্রুরা। ভেতরে ক্রুডের ট্যাংকে আগুন লাগলে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতো। আগুন নেভাতে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক টিম।
সময়ের আলো/আরআই