ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

নদীগর্ভে বিলীন বহু ঘরবাড়ি ও গাছপালা
চিত্রায় এমন ভাঙন দেখেনি কেউ আগে
ঝুঁকিতে নড়াইল-মাগুরা সড়ক
প্রকাশ: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:৩৯ এএম  (ভিজিট : ২৫৬)
চিত্রা নদীতে আগে কখনোই এমন ভাঙন দেখা যায়নি। আস্তে আস্তে এই ভাঙন ভয়ংকর রূপ ধারণ করছে। এখন ধোন্দা গ্রামের পাশে চিত্রা নদীতে যেভাবে ভাঙন দেখা দিয়েছে এভাবে যদি চলতে থাকে তা হলে এ গ্রামের অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। কথাগুলো বলছিলেন নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জিয়াউর রহমান। তিনি আরও বলেন, আমি ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, দ্রুতই ভাঙন প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জল কুমার সেন বলেন, নদীভাঙন রোধে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রকল্প প্রস্তুত করে অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক দিনের ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে বেশ কিছু সংখ্যক ঘরবাড়ি ও গাছপালা। হুমকির মুখে রয়েছে আরও অনেক বসতভিটা। নদীভাঙনের তীব্র ঝুঁকিতে পড়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন প্রতিবন্ধীর পরিবারসহ ধোন্দা গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা। শুধু তাই নয়, ভাঙন অব্যাহত থাকলে নদীগর্ভে চলে যেতে পারে নড়াইল-মাগুরা সড়ক। তবে নড়াইল সদর উপজেলায় শাহাবাদ ইউনিয়নে ভয়াবহ এই নদীভাঙন রোধে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে। নদীভাঙনের খবর পেয়ে ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে প্রবল বর্ষণ এবং নদীর তীব্র স্রোতের কারণে নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বসতভিটা নদীর পেটে চলে গেছে। নদীভাঙনের চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে মেহগনি বাগানসহ আরও অনেক গাছপালা। কথা হয় নদীভাঙনের শিকার ধোন্দা গ্রামের বাসিন্দা মো. হারুন শেখের সঙ্গে। এ সময় তিনি বলেন, নদীভাঙনে আমার বসতভিটার একটা বড় অংশ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী আর মাত্র দুই হাত ভাঙলেই আমার একটি পাকাবাড়ি নদীর গর্ভে চলে যাবে।

ভাঙনকবলিত এলাকার বাসিন্দা মো. ইমরান বলেন, আমরা অনেক দিন ধরেই নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে সরকারের কাছে আবেদন করে আসছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপই নেওয়া হলো না। যেকোনো সময় আমাদের বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এখন আমরা খুবই আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দিন পার করছি। জরুরিভিত্তিতে কাজ শুরু করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

সময়ের আলো/আরএস/






https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close