ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

গ্যাস সংকটে দুর্ভোগ
প্রকাশ: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:২৯ এএম  (ভিজিট : ১১৮)
গ্যাস সংকটে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংকটে অনেকের বাসাবাড়িতে রান্নাবান্না মোটামুটি বন্ধ হয়ে গেছে। গুলবাগে বসবাস করেন বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা হানিফ শিকদার। সকালে তাকে বেরোতে হয়। কিন্তু তার স্ত্রী কখনো সময়মতো তার জন্য সকালের নাশতা তৈরি করতে পারেন না। কয়েক দিন ধরে গ্যাস না থাকায় চুলাই জ্বালানো যায় না। 
ইউসুফ লন্ড্রির মালিক। দুপুরের খাবার এখন তাকে খেতে হয় রাতে। কিছু দিন আগে বৃষ্টির তোড়ে গ্যাস সরবরাহের পাইপে পানি ঢুকেছে। আর সে থেকেই সমস্যা  তৈরি হয়েছে। তবে এই এলাকার আরেক বাসিন্দা আফজাল জানান, কারও কারও বাসায় রাতে গ্যাস থাকলেও দিনে একেবারেই থাকে না বললেই চলে। 

এভাবে মুগদা, মাণ্ডা ও মানিকনগরসহ অনেক স্থানে গ্যাসের অভাবে অনেককে নাকানি-চুবানি খেতে হয়। 

মুগদা এলাকার ভ্যানগাড়ি চালক জাকির জানান, প্রতিদিন রাত ১২টার পর গ্যাস আসে। কিন্তু ভোর না হতেই আর তার নাগাল পাওয়া যায় না। গ্যাসের অভাবে অনেক ভাড়াটিয়া বাসা বদল করছে বলে জানান বাসাবাড়ি বদল করার শ্রমিক রিপন। তবে বেশি দুঃখ বাড়ির মালিকদের। তারা অনেকেই বলেছেন, আমাদের তো কোনো জায়গায় সরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। 

কোনো কোনো এলাকায় বছরজুড়েই গ্যাসের সংকট লেগে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, মানিকনগর রেলগেট সংলগ্ন এলাকা। এ ছাড়াও শনির আখড়া, শাঁখারি বাজার, লক্ষ্মীবাজার, যাত্রাবাড়ী, টিকাটুলি, গোপীবাগ, গোলাপবাগ, ওয়ারি, বাড্ডা, বনশ্রী, মৌচাক, মালিবাগ, নাখালপাড়া ও শেওড়াপাড়ায়ও রয়েছে গ্যাসের তীব্র সংকট। মিরপুরের সব অংশ না হলেও কোনো কোনো অংশে গ্যাসের সংকট নিয়ে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। 

গ্যাস সংকটের কারণ হিসেবে জ্বালানি বিভাগের মন্তব্য হচ্ছে, দেশে যে পরিমাণ গ্যাসের চাহিদা রয়েছে সে তুলনায় সরবরাহ অনেক কম। অর্থাৎ চাহিদা প্রতিদিন ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। আর সরবরাহ করা হয় ২ হাজার ৬৩৩ ঘনফুট।

তবে আগামীতে এই গ্যাস সংকট কেটে যাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জ্বালানি বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ভোলায় গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। আর ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রিডে আনা হবে। একই সঙ্গে এলএনজি ও সিএনজির মাধ্যমে ঢাকায় গ্যাস আনা হবে। তখন হয়তো গ্যাস সংকট থাকবে না। এ ছাড়া বাপেক্সও গ্যাস সন্ধানে কাজ করছে। ইতিমধ্যে ভোলায় আরও দুই ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গেছে। খুব শিগগির সারা দেশে ১০০ কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে।


সময়ের আলো/আরএস/






https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close