সম্প্রতি ভারতীয় পুরোহিত কর্তৃক বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে কটূক্তি এবং বিজেপি নেতার সমর্থনের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে শহরের ভি-এইড রোডের বড় মসজিদের সামনে থেকে ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার’ স্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন ‘রাসূল প্রেমি তৌহিদী জনতা’। একই সময়ে ‘বিশ্ব মুসলিম জাতি’র ব্যানারে শহরের খানকাহ্ শরীফ মসজিদ মাঠ থেকে আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ মিছিল দুটিই জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (গানাসাস) সামনে সমাবেশে মিলিত হয়।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী ও তৌহিদী জনতা মিছিলে ‘বিশ্ব নবীর অপমান, রুখে দিবে মুসলমান’, ‘বিশ্বের মুসলিম এক হও, লড়াই করো’, ‘বিশ্ব নবীর অপমান, সইবে নারে মুসলমান’, ‘তোমার নেতা আমার নেতা, বিশ্বনবী মোস্তফা (সা:)’, ‘সবাই মিলাই হাতে হাত, মোরা রাসূলের উম্মাত’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। এসময় ডিবি রোড, স্টেশন রোড ও সার্কুলার রোডসহ শহরের বিভিন্ন সড়কে যানজটের ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া তৌহিদী জনতা ও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ‘ভারতের বিতর্কিত ধর্মীয় প্রচারক রামগিরি মহারাজ মহারাষ্ট্রের এক ধর্মীয় সভায় রাসূল (সা.) ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেছেন। এতে রাজ্যের এক বিজেপি নেতা সমর্থন দিয়েছেন। এছাড়াও মসজিদে ঢুকে মুসলিমদের ওপর হামলা চালানোর হুমকিও দিয়েছেন ঐ কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা।’
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘কোনো ধর্মই অন্য ধর্মকে কটূক্তি করার শিক্ষা দেয় না। মানবতার শ্রেষ্ঠ মহামানব মোহাম্মদ (সাঃ)-কে অপমান করা মানবতাবাদী আদর্শকে অপমান করা। প্রকৃত মুমিনরা কখনও উগ্রবাদকে ছাড় দেয় না। রাসূল (সা.) নিয়ে যারা কটূক্তি করে তারা গোটা মুসলিম উম্মার দুশমন। পৃথিবীর মুসলিমরা তাদের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে এই কটূক্তির অপমান সহ্য করবে না।’
ভারতীয় পণ্ডিত ও বিজেপি নেতার এই ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্যের জন্য মুসলিম উম্মার কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতিও আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন, রাসূল প্রেমি তৌহিদী জনতার পক্ষে মাওলানা মূফতি এনামুল হাফিজ, মাওলানা মো. ইসমাইল হোসেন, হাফেজ জোবায়েরসহ অন্যরা এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষে জাওয়াত, সিফাত মন্ডল, রাফি, সিয়ন, রাফিন প্রমুখ।
সময়ের আলো/জিকে