প্রকাশ: শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪:৫৯ পিএম (ভিজিট : ৩৯৮)
উজানের পাহাড়ি ঢল আর কয়েক দিনের টানা ভারি বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হওয়ায় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে লালমনিরহাটে। পানি বাড়ায় খুলে দেওয়া হয়েছে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২.১০ মিটার। যা বিপৎসীমার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ মিটার) ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে তিস্তার পানি ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পায়। টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে যায়। এতে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে বিদৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল ডুবে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
তিস্তা নদীর বাম তীরের জেলা লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার বেশ কিছু গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। বড় বন্যার শঙ্কায় রয়েছে তিস্তা পাড়ের মানুষ। উঠতি আমন ধান ও বিভিন্ন সবজির ক্ষতির শঙ্কা করছেন চাষিরা। একই সাথে বন্যার পানির তোড়ে পুকুরে মাছ ভেসে যাওয়ার শঙ্কাও করছেন মৎস্য চাষিরা।
আদিতমারি উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্দ্ধন গ্রামের কৃষক মজিদুল ইসলাম বলেন, গেল রাত থেকে তিস্তা নদীতে পানি বাড়ছে। আমাদের গ্রামের কিছু বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। নৌকা দিয়ে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ির যোগাযোগ করতে হচ্ছে। পানি আরও বাড়লে বড় ধরনের বন্যা হবে। এমন হলে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। এ নিয়ে চিন্তায় পড়েছি।
হলদিবাড়ি চরের আব্দুল মজিদ বলেন, বন্যা হলেই চিন্তা বাড়ে নদী পাড়ে। বন্যার সময় শিশু বৃদ্ধ আর গবাদি পশুপাখি নিয়ে বড় বিপদে পড়তে হয়। বন্যা হলেই নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় তিস্তা পাড়ের মানুষদের। আমরা ত্রাণ নয়, চাই তিস্তার মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার বলেন, তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। বিকেল ৩টায় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আপাতত বড় বন্যার শঙ্কা নেই।
সময়ের আলো/আরআই