ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

বিশেষ সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক
বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে জবিকে অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব
প্রকাশ: শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:১৭ পিএম  (ভিজিট : ১৭৫০)
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কোষাগার কে সামলাবেন। কে হচ্ছেন কোষাধ্যক্ষ? বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট মহলে এ নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কোষাধ্যক্ষ হিসেবে সবচেয়ে বেশি নাম শোনা যাচ্ছে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হকের নাম। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নিজের স্বপ্নের কথা সময়ের আলোকে জানিয়েছেন অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সময়ের আলোর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মোশফিকুর রহমান ইমন।

সময়ের আলো: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার ভাবনা কি?

অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দিন শিক্ষক হিসেবে যোগদান করা চারজনের একজন আমি। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক  হিসেবে একাডেমিক মেম্বার ছিলাম। এখানে আমার চাকরির বয়স আঠারো বছর। অনেক উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষকে দেখেছি। যারা এসেছেন কেউ কাজ করেছেন, কেউ যতটা করার দরকার ততটা করেনি। বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতির বিষয়গুলো দেখতে পেয়েছি। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে শুধু বাংলাদেশের মধ্যে নয় বিশ্বের মধ্যে এমন ভাবে গড়ে তুলতে চাই যেটি হবে একাডেমিক এক্সিলেন্সের জায়গা। এই কাজ করতে গেলে চ্যালেঞ্জ আছে কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জ উতরানো বা চ্যালেঞ্জকে ওভারকাম করার জন্য এখানে একজন দায়িত্বে থাকবেন। আর তিনি যদি পারেন তাহলে তাকে সফল বলা হবে। কিন্তু আঠারো বছর পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যেখানে যাওয়ার কথা সেখানে যেতে পারেনি। আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশ ও বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

সময়ের আলো: বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সেকশনে কত টাকা বাজেট আছে, কোন ক্রয়কার্যটা কীভাবে সম্পাদন করা হবে, কতটুকু বাজেট স্যাংশন করবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট সক্ষমতা কত; এসব কাজ একজন কোষাধ্যক্ষ করে থাকেন। এ দপ্তরে বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতির অভিযোগ আসে। দুর্নীতি জাতীয় জীবনে সকল উন্নতির অন্তরায়। এই দুর্নীতি রোধে কোষাধ্যক্ষ ও কোষাধ্যক্ষ দফতরের একটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এবিষয়ে আপনার মতামত কি?

অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক: আসলে যেখানে টাকা সেখানেই সমস্যা, সেখানেই প্রশ্ন ওঠে। আমি মনে করি এই প্রশ্ন ওঠার পেছনে প্রথম এবং প্রধান কারণ হলো স্বচ্ছতা না থাকা। বিশ্ববিদ্যালয় একটিভ করে রাখেন কোষাধ্যক্ষ। আর সেটা করতে গেলে ফান্ড, ফাইন্যান্স এ কথাগুলি আসে। আর যখনই ফাইন্যান্সের কথা আসে তখন দুর্নীতির কথা আসে। কোষাধ্যক্ষ দায়িত্ব নিয়ে আসে, দায়িত্ব নেয়ার পরে যখন যায় কোনো না কোনো জায়গায় প্রশ্ন ওঠে। আমি মনে করি যেই আসুক তাকে প্রথম থেকেই সজাগ থাকতে হবে কেউ যেন প্রশ্ন তোলার সুযোগ না পায়। এর জন্য প্রয়োজন প্রক্রিয়াটা ঠিক রাখা। আপনার যখন লেনদেন ঠিক থাকবে তখন তথ্য প্রকাশ করতে সমস্যা থাকবে না। আপনার কি পরিমাণ বাজেট আসছে কোথায় খরচ হচ্ছে তাতে স্বচ্ছতা থাকতে হবে।

সময়ের আলো: কোষাধ্যক্ষ হিসেবে আপনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ক্ষেত্রে কী ধরনের পরিবর্তন আনতে চান?

অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক: ২০২৪ সালে এসেও আমরা শিক্ষায় অনেক পিছিয়ে আছি। কারিকুলামের দিক দিয়ে আইকিউএসি এটা সেটা দিয়ে বলছি অনেক কিছু হয়েছে। কিন্তু আমরা যদি দেখি তাহলে দেখতে পাই গুণবাচক কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। আমি শুধু সংখ্যাই নয় আমার প্লান আমি গুণগত পরিবর্তন আনতে চাই। প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্ট প্রত্যেকটা ফ্যাকাল্টির সাথে বসে তাদের যে বিষয়গুলোর প্রয়োজন, তাদের যে চাহিদা আছে, তারা কোন জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করতে চাই এর জন্য কি প্রয়োজন সেটির ব্যবস্থা করতে চাই। একটা একটা করে ধরে ধরে কাজ করতে চাই। অবশ্য চাইলেই আপনি সবকিছু দিতে পারবেন না আপনার কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু এই সীমাবদ্ধতার মাঝে থেকেও আমি তাদের জন্য কাজ করতে চাই। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফান্ডের মাধ্যমে আবার কোনো ক্ষেত্রে আমার যে অভিজ্ঞতা আছে সেটা শেয়ার করতে চাই।

সময়ের আলো: আপনি ডেনমার্কের আলবার্গ ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ম্যানেজমেন্টে পিএইচডি করেছেন এবং এর আগে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই উদ্ভাবন এবং উদ্যোক্তা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বিভিন্ন বড় বড় জার্নালে আপনার গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠার ২০ বছরেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এখনো গবেষণামুখী হয়ে উঠতে পারেনি এ বিষয়ে আপনার ভাবনা কি?

অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক: সারা পৃথিবীতে এখন ইনোভেশনের সময়। ইনোভেশনকে গুরুত্ব দেয়া হয়। আপনি যদি ইনোভেটিভ না হন তাহলে এই পৃথিবীতে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবেন না। নিয়মিত গবেষণা প্রকাশ হচ্ছে। আমার মনে হয় আমার আরো সহকর্মী এখান থেকে চেষ্টা করছে, পাবলিশ করছে। আমার মনে হয় যারা বড় বড় জার্নালে প্রকাশ করতে পারে বা করে তাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আবার যারা রিসিভার তাদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে। যারা জুনিয়র কলিগ, লেকচারার তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে। প্রজেক্ট ডেভেলপ করতে হবে, প্রজেক্ট সাবমিট করতে হবে। সেটি ন্যাশনাল লেভেলে হোক বা ইন্টারন্যাশনাল লেভেলে হোক। যদি সে প্রজেক্টগুলি নিয়ে আসা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় যদি বিভিন্ন সোর্স থেকে ফান্ড নিয়ে আসতে পারে এবং সেক্ষেত্রে যদি জুনিয়র সহকর্মীদের সংযুক্ত করা যায় তখন দেখা যাবে প্রথমে আপনাকে রোল প্লে করতে হবে তাদেরকে ফেসিলেটেড করতে হবে। একটা সময় তারা যখন ডেভেলপ করে ফেলবে তখন তারা নিজেরাও বড় বড় জার্নালে গবেষণা প্রকাশ করতে পারবে। আসলে আমরা সবদিকে ফোকাস করলেও রিসার্চে আমাদের ফোকাসটা কম। আমরা ইনফ্রাস্ট্রাকচার নিয়ে কথা বলি, অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলি।  সবগুলো ঠিক আছে। কোনটাকে আন্ডারমাইন্ড করছি না। তবে গবেষণাতে ফোকাস কম। আর এই ফোকাস মানে শুধু ফান্ড বরাদ্দ নয় সেই সাথে হচ্ছে পলিসি মেকিং যেটা আমাদের এখানে নেই। এজন্য বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে, প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। আমাদের অনেক কলিগ দেশের বাইরে যাচ্ছে মাস্টার্স করছে, পিএইচডি করছে। গবেষণা যদি বাধ্যতামূলক করা যায়, র‌্যাংক জার্নালে প্রকাশ করা যায় পাশাপাশি গবেষণাকে যদি প্রমোশনের সাথে লিংক করা যায় তাহলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দূর এগিয়ে যাবে। বিশ্বে একটি ভালো অবস্থান করে নিতে পারবে।

সময়ের আলো: স্যার বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠে এটিকে মানসম্মত পর্যায়ে নিয়ে যেতে আপনার পরিকল্পনা কি?

অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক: আসলে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজকের এই দিন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির যতদূর এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল ততদূর এগিয়ে যায়নি। অনেক কিছু করার ছিল যা আমরা করতে পারিনি। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে র‌্যাংকিংয়ে প্রথম দিকে আনতে পারিনি। বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে বিষয়গুলো প্রয়োজন ছিল সেগুলো ফোকাসের বাইরে ছিলো। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি সম্ভাবনাময় বিশ্ববিদ্যালয় সঠিকভাবে কাজ করলে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

সময়ের আলো: শিক্ষার্থীদের সব সমস্যার মূলে আবাসন সমস্যা এটি নিরসনে আপনার পরিকল্পনা কী?

অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক: শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দূর করা প্রয়োজন। আগের উপাচার্যদের সময়ে আমরা শুনেছি টাকা পড়ে আছে। আমার মনে হয় সদিচ্ছার অভাব ছিল অথবা ইনিসিয়েটিভের অভাব ছিল যতটা ইনিসিয়েটিভ, প্রোগ্রেস করার দরকার। লোকমুখে শোনা যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে সেটা হয়নি। কিন্তু আপনি যদি আবাসন সংকট সমাধান না করতে পারেন, শিক্ষার্থীরা যদি ঘুমাতে না পারে তাহলে সকালে এসে ক্লাস করবে কিভাবে? শিক্ষার্থীরা যদি ভালো পরিবেশ না পায় তাহলে ভালো আউটপুট আসবে কিভাবে। কেরানীগঞ্জে যে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস হচ্ছে এখানে যদি শিক্ষার্থীদের জন্য আপাতত সাময়িক থাকার ব্যবস্থা করা যায়। আমাদের যে হলগুলো আছে তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। হল উদ্ধার করা যাবে কি যাবে না, অনেকগুলোর কাগজপত্র নেই। শুধু বলার জন্য বলা। অনেকে মিডিয়ায় আসার জন্য বলে। যে হলগুলোর কাগজপত্র আছে সেগুলো যদি লিগালি আইনগতভাবে স্ট্রং হয়ে থাকি তাহলে সেগুলো ভোগ বা ব্যবহার করা যেতে পারে। যদি দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে অন্তত টেম্পোরারি হল করে দেয়া হয় তাহলে যারা দূর থেকে আসে কষ্ট করে থাকে তাদের অনেক সুবিধা হবে। পাশাপাশি পরিবহনের ব্যবস্থা করলে তারা সহজে ওখান থেকে যাতায়াত করতে পারবে।

সময়ের আলো: কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর জকসু নির্বাচন হয়নি। জবি উপাচার্য ছাত্ররাজনীতি নিয়ে বলেছেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হবে না কিন্তু ছাত্ররাজনীতির কালচার চেঞ্জ হবে। লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি চলবে না এবং জকসু যতদ্রুত সম্ভব তত দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। এ বিষয়ে আপনার মতামত কি?

অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক: ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের কথা বলার একটা প্ল্যাটফর্ম। এখানে শিক্ষার্থী একত্রে তাদের কথাগুলো বলতে পারবে। এখানে নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকবে। আমার মনে হয় যতদ্রুত সম্ভব জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ নির্বাচন হওয়া উচিত।

২০০৭ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। এছাড়াও তিনি ডেনমার্কের অ্যালবর্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইনোভেশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড এন্টারপ্রেনরশিপে এমএস ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ড্যানিডা স্কলারশিপ নিয়ে অ্যালবর্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ম্যানেজমেন্টে পিএইচডি ডিগ্রি এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেকশন বোর্ডের মেম্বারশিপ লাভ করেন।

ড. ইমরানুল হক ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও ডেনমার্ক সরকারের অর্থায়নে ২টি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকল্পে রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বের পাশাপাশি তিনি অলবর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাস্টেইনেবিলিটি ল্যাবে গবেষক হিসেবেও কাজ করছেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা জার্নালে তার ৫০ এর অধিক গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি ইউরোপিয়ান ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস একাডেমি কনফারেন্সসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে গবেষণা নিবন্ধ পরিবেশন করেন। তিনি এমবিএ ও বিবিএ ভর্তি কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি  এবং মার্কেটিং বিভাগের এমবিএ (প্রফেশনাল কোর্স) ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ড. ইমরানুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে জুলাই বিপ্লব, ২০২৪-এ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন।

সময়ের আলো/জিকে




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close