ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

বেনাপোল ও আখাউড়া দিয়ে ইলিশ রফতানি শুরু
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:২৮ এএম  (ভিজিট : ১৪০)
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে তিন হাজার টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। প্রথম চালান হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুরে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দুটি ট্রাকে আট টন ইলিশ ভারতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৭ হাজার ৩০০ কেজি ইলিশ মাছ ভারতে রফতানি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মোট ৬টি পিকআপ ট্রাকে এসব মাছ পাঠানো হয়।

এ বছর দেশের ৪৯টি প্রতিষ্ঠান তিন হাজার টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন পেয়েছে। আগামী ১৩ অক্টোবরের আগেই ইলিশ রফতানি শেষ করতে। প্রতি কেজি ইলিশ রফতানি হচ্ছে ১১৯৫ টাকায় (১০ ইউএস ডলার)। 

এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার অথৈ চৌধুরী জানান, ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ নামক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের বনগাঁ এলাকার আর জে ইন্টারন্যাশনাল নামক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে চুক্তি শর্ত মোতাবেক ১০ মার্কিন ডলার মূল্যে ইলিশ সরবরাহ করছে। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য প্রায় ১১৯৫ টাকা। 

এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, স্বর্ণালী ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান ৪ হাজার ৩০০ কেজি ও বিডিএস করপোরেশন ৩ হাজার কেজি মাছ রফতানি করে। মাছগুলোর সিঅ্যান্ডএফের কাজ করে আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ও ট্রেড লিংক ইন্টারন্যাশনাল। এ বন্দর দিয়ে প্রায় ২০০ টনের মতো মাছ রফতানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। 

আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান খান বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক মাছ রফতানি হচ্ছে। রফতানির বিপরীতে জমা হওয়া কাগজপত্র দেখে মাছ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।

স্থলবন্দর মাছ রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশেনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) 

প্রথমবারের মতো ইলিশ আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাচ্ছে। প্রথম দিন ৭ টনের বেশি মাছ রফতানি হচ্ছে। ধাপে ধাপে আরও মাছ রফতানি করা হবে। 

আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকার ইলিশ মাছ রফতানির যে অনুমতি দিয়েছে এরই অংশ হিসেবে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পাঠানো হলো। প্রতি কেজি মাছ ১০ ডলার দরে যাচ্ছে।সামাল দিতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন তারা। তবে ইলিশের আমদানি বাড়লে দাম কিছুটা কমবে বলেও আশাবাদী তারা।

ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, এ বছর গতবারের থেকেও কম ইলিশ আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু যা খবর পাচ্ছি তাতে সেই পরিমাণ মাছও এ বছর পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ। কারণ, বাংলাদেশের নদীতেও সেভাবে মাছ ধরা পড়ছে না। ফলে অনুমতি থাকলেও সেই পরিমাণ ইলিশ সে দেশের ব্যবসায়ীরা পাঠাতে পারবে কি না সে সম্পর্কে আমরা খুবই সন্দিহান।

মাকসুদ আরও জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারে মাছ নিলাম করে বিক্রি হয়। যা অবস্থা তাতে আমাদের ধারণা সেখানেই মাছ কেজিপ্রতি ১ হাজার ৪০০ টাকা দামে বিক্রি হবে। এরপর খুচরা বাজারে যে যেরকম পারবে বিক্রি করবে। স্বাভাবিকভাবেই পাইকারি বিক্রির দাম থেকে এই ইঙ্গিতই পাওয়া যায় প্রতিবেশী রাজ্যের ইলিশ এ বছর খুচরা বাজারে চড়া দামে বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।


সময়ের আলো/আরএস/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close