ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

প্রভাবশালীদের পেটে জিকে সেচ প্রকল্পের জমি-স্থাপনা
প্রকাশ: বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪:৫০ এএম  (ভিজিট : ২৬২)
ঝিনাইদহে গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের একরের পর একর জমি ও স্থাপনা দিন দিন বেদখল হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, বছরের পর বছর দেখভাল ও তদারকি না করায় এসব জমি দখল করে নিচ্ছে এলাকার প্রভাবশালীরা। প্রকল্পের বেহাল অবস্থা হলেও যেন কোনো মাথাব্যথাই নেই কর্তৃপক্ষের। গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের এসব জায়গা যেন অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা এমন পরিস্থিতির জন্য লোকবল সংকটকে দায়ী করছে। 

জিকে সেচ প্রকল্পের জমি ও স্থাপনা বেদখল হয়ে যাচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন খোদ ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপপ্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবদুল মোত্তালিব। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লোকবল সংকটের কারণে আমরা আমাদের শাখা অফিসসহ স্থাপনাগুলো দেখভাল করতে পারছি না। তবে কিছু কিছু স্থানে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। নতুন করে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে বলেও জানান ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপপ্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবদুল মোত্তালিব।

ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঝিনাইদহের শৈলকুপা, হরিণাকুণ্ডু ও সদর উপজেলায় জিকে সেচ প্রকল্পে প্রায় ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ বিঘা জমি বেদখল হয়ে গেছে। এ ছাড়া পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে অনেক জমি।  
সরেজমিন শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সেখানে অবস্থিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা অফিসের স্থাপনাগুলো বন-জঙ্গলে ছেয়ে গেছে। খুলে যাচ্ছে অফিস ভবনের ইট। সেইসঙ্গে ধসে পড়ছে দেয়াল। কোথাও আবার চুরি হচ্ছে জানালা দরজাসহ সেচ খালের লোহার গেট। এরই মাঝে দখলে মেতে উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। দখল করা জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে দোকানপাট, ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা।

কথা হয় শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আজাদ হোসেনের সঙ্গে। এ সময় তিনি বলেন, জিকে সেচ প্রকল্পের জমি ও স্থাপনা বছরের পর বছর ধরে দখল করে রেখেছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। জিকে সেচ প্রকল্পের এই স্থাপনাগুলো দখলমুক্ত করে ভাড়া দিলে বা অন্য কোনো প্রকল্পে ব্যবহার করলে সরকার রাজস্ব পেত। কিন্তু কর্তৃপক্ষ নজর না দেওয়ায় আর সংস্কার না করার কারণে কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একই এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম বলেন, জিকে সেচ প্রকল্পের বিভিন্ন শাখা অফিসের শত শত বিঘা জমি অযথাই পড়ে আছে। সেসব জমি দখলে নিয়ে ঘরবাড়ি তৈরি করেছে দখলদাররা। শুধু তাই নয়, প্রকল্পের জায়গায় বেড়ে ওঠা বড় বড় গাছ রাতের আঁধারে কেটে নিয়ে যাচ্ছে লোকজন। তদারকি ও দেখভালের কেউ না থাকায় দিন দিন দখল হয়ে যাচ্ছে জিকে সেচ প্রকল্পের জমি ও স্থাপনা। সেচ খালের লোহার গেটগুলোও দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা মাঝে মধ্যে আসতেন। কিন্তু এখন আর আসেন না। জিকে সেচ খালেও এখন আর পানি ঠিকমতো দেওয়া হয় না। স্থানীয় কৃষক ও বাসিন্দাদের কথা বিবেচনা করে জিকে সেচ প্রকল্পের এসব স্থাপনা পুনরুদ্ধার করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close