লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর আলম (৬০) নামে এক নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। গত রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামে এ হত্যাকা- ঘটে। এ ঘটনার জন্য খোকন নামে স্থানীয় এক বিএনপি কর্মীকে দায়ী করেছে নিহতের পরিবার। নিহত নুর আলমের মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। তিনি চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এদিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের ছোট ভাকলা ইউনিয়নের কাটাখালী বাজারে রোববার সর্বহারা দলের (চরমপন্থি) নেতা সুশীল সরকারকে (৫৮) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
নিহতের ছেলে আরিফ হোসেন জানান, সন্ধ্যার পর তার বাবা ঘরে ছিলেন। এ সময় একটি ফোন আসে, লোকজন তাকে মারতে আসছে। তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ামাত্রই ঘরের পেছনে ১০-১২ সন্ত্রাসী তাকে আক্রমণ করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা তার বাবাকে লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে তিনি ঘরের পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যান। পরে সেখান থেকে তুলে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় বাধা দিতে গেলে তার মাকেও মারধর করা হয়। বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসী খোকনের নেতৃত্বে ১০-১২ সন্ত্রাসী এ হত্যাকা- ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন আরিফ।
আরিফ আরও বলেন, ঘটনার সময় আমি ঘর থেকে বেরিয়ে আমার বাবাকে মারতে দেখি। আমাকে হামলাকারী দুজন ধরে রাখে। আমি তাদের হাত থেকে ছুটে পুকুরের অন্য পাড়ে গিয়ে আশ্রয় নিই। আমার মা মমতাজ বেগম হামলাকারীদের পায়ে পড়েছিল, বাবাকে না মারার জন্য। কিন্তু কেউ কোনো কথা শোনেনি।
হামলার পর প্রথমে নুর আলমকে চন্দ্রগঞ্জের একটি হাসপাতালে, পরে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জয়নাল আবেদীন জানান, নুর আলমকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. সোহেল রানা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সন্ত্রাসীরা যে দলেরই হোক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
নিহত আওয়ামী লীগ নেতা নুর আলম বাড়ির পাশে একটি টেইলারিং দোকানে পোশাক সেলাইয়ের কাজ করতেন। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জনক ছিলেন।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে হত্যার শিকার সুশীল ছোট ভাকলা ইউনিয়নের পশ্চিম হাউলির মৃত মনিন্দ্রনাথ সরকারের ছেলে। জানা যায়, সন্ধ্যা ৬টায় স্থানীয় কাটাখালী বাজারে যায় সুশীল। এ সময় একদল অস্ত্রধারী সুশীলকে ডেকে এমদাদুলের চায়ের দোকানের পাশে নিয়ে যায়। সেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি তাকে কুপিয়ে চলে যায়।
নিহত সুশীল সরকারের ভাই সুনীল সরকার বলেন, আমি অটোরিকশা চালাই। কাটাখালী বাজার থেকে ভাড়া নিয়ে একটু সামনের দিকে গেলেই খবর পাই আমার ভাইকে কে বা কারা যেন মারছে। দ্রুত আমি কাটাখালী বাজারে গিয়ে দেখতে পাই আমার ভাই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আমি দ্রুত আমার অটোরিকশায় উঠিয়ে গোয়ালন্দ হাসপাতালে নিয়ে আসি। পরে ডাক্তার জানায় আমার ভাই মারা গেছে। তিনি আরও বলেন, আমার ভাই বিয়ে করেনি। কোনো কাজ করত না। বিগত দিনে সর্বহারা পার্টি করত।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা সন্ধ্যা ৭টার দিকে একজন রক্তাক্ত রোগীকে মৃত অবস্থায় পাই। তাৎক্ষণিক পুলিশকে খবর দিই। গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে, তাদের ধরতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, আমরা জানতে পেরেছি তিনি চরমপন্থি দলের সদস্য ছিলেন। তার নামে ৩টি অস্ত্র ও দুটি হত্যা মামলা রয়েছে।
সময়ের আলো/জিকে
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
আন্দোলনে হত্যার অভিযোগে যুবলীগ নেতা নূর ইসলাম গ্রেফতার
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী
একমাসে সীমান্তে ২৪১ চোরাকারবারি আটক
জমি দখল করে বৃদ্ধকে জেলে পাঠানোর অভিযোগ বিএনপি নেতা বিরুদ্ধে
ভারতে পালানোর সময় সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ আটক
ধরাছোঁয়ার বাইরে তারা
ভালো নেই প্রাথমিকের শিক্ষকরা
হাতিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর ব্যবসায়ী সমাবেশ
কালিহাতীতে কোটা আন্দোলনের মামলায় গ্রেফতার ৩
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী
আগে সংস্কার এরপর নির্বাচন
সৎ-নীতিবান অফিসাররাই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার: প্রধান উপদেষ্টা