প্রকাশ: সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:৩৭ পিএম (ভিজিট : ১৬০)
মাদারীপুরে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে একই বিদ্যালয়ের ৭ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের রঘুরামপুর গ্রামের ছাত্রীদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়।
এর আগে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের রঘুরামপুর গ্রামের এনতাজ উদ্দিন খান পাবলিক হাই স্কুলের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাত জন একে একে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন- শিলা, রূপা, রিয়া মনি, রিম্পা রায়, মহিমা আক্তার, লাবিবা ও তানিমা।
হাসপাতাল, স্থানীয়, অসুস্থ শিক্ষার্থী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ আগে মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের রঘুরামপুর গ্রামের এনতাজ উদ্দিন খান পাবলিক হাই স্কুলের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী নীলা মনি শ্রেণিকক্ষে পড়ার সময় অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে প্রথমে মাদারীপুর ও পড়ে ঢাকায় চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
নীলা মনি বাড়িতে আসলে তাকে দেখতে গতকাল (রোববার) সকালে ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে যান নবম শ্রেণির বেশ কয়েকজন স্কুলছাত্রী। পরে দুপুরে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে আসলে একে একে অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা। রোববার দুপুর থেকে আজ (সোমবার) দুপুর পর্যন্ত অজ্ঞান হয়ে ৯ম শ্রেণির ৭ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তারা চিকিৎসা নিয়েছেন।
অসুস্থ শিক্ষার্থী মাহিমা বলেন, নীলা মনিকে দেখে আসার পর পরই আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমাদের মধ্যে দুইজনের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। বাকিরা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে অসুস্থ সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরেক শিক্ষার্থী তানিমা বলেন, আমাদের অসুস্থ বান্ধবীকে দেখতে গিয়েই আমরা নিজেরাই অসুস্থ হয়ে পড়ি। এমনটা হবে আমরা কেউই বুঝতে পারিনি। প্রথমে দুজন অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে সাথে বাকি ৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। এখনও সবাই পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেনি।
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহম্মদ খান বলেন, কোন কারণে তারা মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ৭ স্কুলছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ অজ্ঞানও হয়ে যায়। সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৭ জনের ৫ জন এরই মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছে। বাকি দুজনের বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট থাকায় হাসপাতালে ভর্তি আছে।
সময়ের আলো/আরআই