প্রকাশ: সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:১৫ পিএম আপডেট: ২৩.০৯.২০২৪ ৮:১৮ পিএম (ভিজিট : ১৮১)
চাদের হাট খ্যাত মেঘ-পাহাড়ের মিতালীর রাজ্য সাজেক ভ্যালীতে প্রায় ১৮০০ পর্যটক সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত প্রায় ৬ দিন ধরে আটকা রয়েছে। ইউপিডিএফ অবরোধ শেষ হলেও নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে রাতের বেলা পর্যটকদের বহির্গমনে প্রশাসন অনুমতি দেয়নি।
উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদের হাট খ্যাত মেঘ-পাহাড়ের মিতালীর মায়া নগর সাজেক ভ্যালীতে কমবেশি আড়াই হাজার পর্যটক সমাগম ঘটে। গত বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ির দিঘীনালা ও রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙ্গালির সাম্প্রদায়িক সংঘাত সংঘর্ষ শুরু হলে পাহাড়ের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় এতো বিপুল সংখ্যার পর্যটক সাজেকের হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলোয় আটকে পড়ে। এর মধ্যে কিছু পর্যটক বিকল্প ব্যবস্থায় স্ব-উদ্যোগে সাজেক ভ্যালী ছেড়ে গেছে। কিন্তু এখনো আটকে রয়েছে ১৬/১৭শ পর্যটক।
এদিকে, ইউপিডিএফর ৭২ ঘণ্টার অবরোধের কারণে খাদ্যের সরবরাহ কমে গেছে। একসাথে এতো বিপুল সংখ্যক পর্যটকের খাদ্যের চাহিদা পূরণে হোটেল মোটেলগুলো হিমশিম খাচ্ছে। এ অবস্থায় পর্যটকরা বেশি বিড়ম্বনায় পড়েছে শিশু খাদ্য নিয়ে। মাছ-মাংসের যোগান নেই বললেই চলে। পাহাড়ের স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত শাকসবজি ও অপরিচিত খাদ্যে সব পর্যটক অভ্যস্তও নয়। যে কারণে এক প্রকারের খাদ্য সংকট চলছে বলা যায়।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ইউপিডিএফর অবরোধ শেষ হলেও নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় প্রশাসন এতো বিপুল সংখ্যার পর্যটককে বহির্গমনের বারণ করেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় সাজেক ভ্যালী থেকে পর্যটকদের নিরাপদে স্থান ত্যাগের ব্যবস্থা করবে। কোন ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে সাজেক ভ্যালীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা কারো জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে পারি না। সে জন্য পর্যটকদের সাময়িক অসুবিধা হলেও আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকালে সেনাবাহিনীর সহায়তায় নিরাপদে সাজেক থেকে তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। মাছ-মাংস ছাড়া খাদ্যের তেমন কোন ঘাটতি নেই বলে জানান এ কর্মকর্তা।
সময়ের আলো/আরআই