প্রকাশ: সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৭:১৯ পিএম (ভিজিট : ১৬৮)
অনিয়ম, দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হাসপাতালের উপ-পরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক এ বি এম আবু হানিফ স্বাক্ষরিত এক আদেশে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মো. রওশন হাবিব ও নিরাপত্তা প্রহরী আবদুল জব্বারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত থাকাকালে বিধি অনুযায়ী তারা খোরপোষ ভাতা পাবেন। ২০০৪ সাল থেকে রওশন হাবিব ওয়ার্ড মাস্টারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
বহিষ্কৃত দুজনের বিরুদ্ধে হাসপাতালের সাবেক পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. ইসলাম উদ্দিনকে আঘাতের চেষ্টা, নতুন মেডিকেল কলোনি ক্যাম্পাসে অবৈধ স্থাপনা তৈরি, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ দোকান ও অ্যাম্বুলেন্স রাখার অবৈধ স্থান ও বহির্বিভাগ থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায়, নারীদের যৌন নির্যাতন, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে হাসপাতালে গঠিত একটি তদন্ত কমিটি। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মসংক্রান্ত একটি অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর ৩ (খ) ও ৩ (ঘ) বিধি মোতাবেক ‘অসদাচরণ ও দুর্নীতির’ দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। কেন তাদের এই বিধিমালার আলোকে যথোপযুক্ত দণ্ড দেওয়া যাবে না, তা আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে পরিচালক বরাবর কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সাময়িক বরখাস্ত রওশন হাবিব, আবদুল জব্বারসহ ওসমানী হাসপাতালের আটজনের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বুধবার সিলেটে দুদক একটি মামলা করেছে।
অভিযোগ ও সাময়িক বরখাস্তের ব্যাপারে কথা বলতে রাজী হননি ওয়ার্ড মাস্টার রওশন হাবিব। তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে কোনো কথা বলবো না। আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি।
সময়ের আলো/আরআই