ব্রাহ্মণবাড়িয়ার
নবীনগরে একই দিনে পৃথক ঘটনায় দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন,
উপজেলার লাউর ফতেহপুর গ্রামের নিয়তি রানী দাস (৩৬), কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন
নারুই (ব্রাহ্মণহাতা) গ্রামের কাউছার মিয়ার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার (২২),
বগডহর গ্রামের মৃত ফুল মিয়ার ছেলে শুক্কুর খান (৫৫)।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫ টার মধ্যে এই পৃথক তিনটি ঘটনা ঘটে।
পুলিশ
জানায়, প্রথমে সকাল ৯টার দিকে লাউর ফতেহপুর গ্রামের নিয়তি রানী (৩৬) নামের
এক মহিলা পরিবারের লোকজনের অনুপস্থিতিতে কাউকে কিছু না জানিয়ে কেরির বড়ি
খেয়ে আত্মহত্যা করেন। এটি আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হলেও এর
কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। একই দিন বিকেল ৩টার দিকে কাইতলা উত্তর
ইউনিয়নে নারুই (ব্রাহ্মণহাতা) গ্রামের কাউছার মিয়ার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার
পরিবারের কারো সাথে হয়তো অভিমান থেকে ঘরের দরনার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে
আত্মহত্যা করেন। পরবর্তীতে বিকেল সাড়ে চারটায় আবার সংবাদ পায় নবীনগর
থানার ওয়ারুক নামক স্থানে নবীনগর থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি মাইক্রোবাস
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা একটি সিএনজিকে চাপ দিলে ঘটনাস্থলেই শুক্কুর
আলী নিহত সহ আরো ৫ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে মাইক্রোবাস জব্দসহ লিটন
ঘোষ (৪৫) নামের এক চালককে আটক করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী হাসনা বানু থানায়
লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
নবীনগর থানার (ওসি) তদন্ত সজল কান্তি দাস
ঘটনা সততা নিশ্চিত করে সময়ের আলোকে বলেন, একই দিনে তিনটি মৃত্যুর ঘটনা
ঘটেছে। পৃথক তিনটি ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও লাশ
উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করা
হয়েছে। মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের জন্য ইতোমধ্যে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।
সময়ের আলো/এএ/