ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

এক মসজিদেই বদলে গেছে গ্রামের চিত্র
প্রকাশ: সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:২৮ এএম  (ভিজিট : ১৩২)
দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম নগরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন শিল্পপতি মোহাম্মদ দিদারুল আলম চৌধুরী। তিনি নগরে থাকলেও সবসময়ই এলাকার মানুষের পাশে সামর্থ্য অনুযায়ী সম্পৃক্ত থেকেছেন। এই সমাজসেবক নিজের এলাকার মানুষের পাশে থাকার স্বপ্ন ও প্রত্যাশা লালন করেন সবসময়। তাই তিনি নিজ গ্রামে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি মসজিদ পুনঃনির্মাণ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

সম্পূর্ণ নিজের অর্থায়নে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন জামে মসজিদ যেন পাল্টে দিয়েছে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হারুয়ালছড়ি গ্রামের চিত্র। আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত মসজিদটি অন্যান্য এলাকার মানুষেরও নজর কাড়ছে। এটির দিকে তাকালে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদটি বাড়িয়ে দিয়েছে পুরো এলাকার সৌন্দর্য। নতুন মসজিদে আগ্রহ নিয়ে নামাজ আদায় করছেন গ্রামের মুসল্লিরা।

স্থানীয় হারুয়ালছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘জনশ্রুতি মতে মসজিদটি ৫০০ বছর পুরোনো। সেখানে একসময় পীর দরবেশরা একসঙ্গে নামাজ আদায় করতেন। অতীতে সেখানে ঝোপ-জঙ্গলে ভরা ছিল। তাই এলাকার লোকজন এটির নাম দেন ‘ফকিরপাড়া গায়েবি জামে মসজিদ’। পরে এটি সংস্কারের মাধ্যমে আধুনিকায়ন করা হয়। ২০১৫ সাল থেকে আমার বড় ভাই শিল্পপতি মোহাম্মদ দিদারুল আলম চৌধুরীর একক উদ্যোগে এটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়। এতে বদলে যায় গ্রামের চিত্র। এটি করতে পেরে আমার পরিবার গর্বিত ও আনন্দিত।’

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এটি একসময় ছোট আকারের মসজিদ ছিল। ঝোপ-জঙ্গলে ভরা ছিল। গ্রামের দূর-দূরান্ত থেকে শুক্রবার, বিশেষ দিন অথবা ঈদের দিন জামাতে সবাই একসঙ্গে নামাজ আদায়ের সময় দেখা দিত সংকট। অনেক কষ্ট করে নামাজ আদায় করতে হতো। অবশেষে এই মসজিদ পুনঃনির্মাণ হওয়ায় অনেক দিনের বেঁধে রাখা স্বপ্নপূরণ হলো গ্রামের মানুষের। এ জন্য চেয়ারম্যানের পরিবারের প্রতি সবাই কৃতজ্ঞ।

এক একর ৬ শতক ভূমিতে নির্মিত মসজিদটিতে ব্যবহার করা হয়েছে সম্পূর্ণ আধুনিক জিনিসপত্র। সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে মসজিদের মিনারটি, যা দূর থেকে দেখলে যে কাউকে মুগ্ধ করে। মসজিদটি একনজর দেখতে ছুটে আসেন ভ্রমণপিপাসু দূর-দূরান্তের দর্শনার্থী। 

শিল্পপতি মোহাম্মদ দিদারুল আলম চৌধুরী বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল মসজিদটি নতুন করে নির্মাণ করব। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতেই আমি আমার এলাকার লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে তাদের সহযোগিতায় এটি নির্মাণের উদ্যোগ নিই। এটি নির্মাণে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মসজিদে আধুনিক লাইটিংসহ সবকিছু রয়েছে। পাশাপাশি সামনের খালি জায়গায় ফুলের বাগানও গড়ে তোলা হয়েছে। এ ছাড়া মসজিদটি নির্মাণে গ্রামবাসীও সহযোগিতা করেছেন। এলাকার উন্নয়নে আরও অনেক কিছু করার পরিকল্পনা আছে তার।

স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, এটি এলাকাকে যেন উজ্জ্বল করেছে। মসজিদের নির্মাণশৈলী দেখে প্রতিদিনই এখানে ভিড় করেন লোকজন। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের লোকজন একনজর দেখতে ছুটে আসেন। অনেকে ভিডিও চিত্র ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাড়েন। ইউটিউব-গুগলেও মসজিদটির স্থান রয়েছে।

গ্রামের কয়েকজন মুরুব্বি বলেন, প্রথম দেখাতেই যে কারও দৃষ্টি কাড়ে মসজিদটি। অন্য এলাকার লোকজন খুব প্রশংসা করেন। অনেকের কাছে এই মসজিদের নির্মাণশৈলী বেশ আকর্ষণীয়। এ উপজেলার মধ্যে এমন মসজিদ চোখে পড়েনি। মসজিদটি পুরো গ্রামের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। মোহাম্মদ দিদারুল আলম চৌধুরী সবাইকে এক সঙ্গে নামাজ আদায় করার সুযোগ করে দিয়েছেন এ স্মৃতি আজীবন থাকবে।

স্থানীয় লোকজন আরও বলেন, একসময় দিদারুল আলম চৌধুরী না থাকলেও তার সহায়তায় নির্মিত এই মসজিদটি থাকবে আজীবন। তার পরিবারের কথা সবাই মনে করবে।

সময়ের আলো/আরএস/





https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close