ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

ক্ষুধা মুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সৃষ্টি মহিলা উন্নয়ন সংস্থা
প্রকাশ: রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:০৬ এএম  (ভিজিট : ৬৩৬)
বাংলাদেশে যেকোনো উন্নয়নে সরকারি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য, কিন্তু পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন পদক্ষেপ সেই উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে। জনসংখ্যাবহুল এ দেশে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও শিক্ষার হার বৃদ্ধি করে স্থায়ী উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণের মাধ্যমে জনগণের সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং সামাজিক সম্মান নিশ্চিতকরণে যেখানে সরকার নিরলসভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, কৃষি ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, তখন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গুলোও (এনজিও) বসে নেই।

এ দেশের গ্রামীণ আর্থসামাজিক উন্নয়ন সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে এনজিও খাত ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। সেই অবদানের বৈশ্বিক বেশকিছু স্বীকৃতিও এসেছে। তার মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতের চেয়েও বাংলাদেশ আর্থসামাজিক সূচকগুলোয় অনেকাংশে এগিয়ে আছে। এক্ষেত্রে এনজিও ও সরকারের নানা নীতি ও কৌশলের অবদান রয়েছে। তবে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে দেশের এনজিও ও সংস্থা গুলো।

সৃষ্টি মহিলা উন্নয়ন সংস্থাটি প্রত্যন্ত অঞ্চল পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় ২০১৬ সালে স্থাপিত হয়। সংস্থাটির ধারাবাহিক ভাবে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে এটা নিবন্ধিত হয়। যার রেজি নং-১৭৭। এই সংস্থাটি গ্রাম পর্যায় থেকে ৩ জন কর্মী নিয়ে যাত্রা শুরু হয়। প্রথমত সচেতনামুলক কার্যক্রম দিয়ে পদযাত্রা শুরু করেন। বর্তমানে ৪৮ জন কর্মী এই সংস্থায় চাকুরী করতেছেন।

এই সংস্থাটি যে কাজ গুলো পরিচালনা করেন পশুপালন, হাঁস-মুরগির খামার, মাছ চাষের ক্ষেত্রে  প্রতিপালন ও চাষ পদ্ধতি এবং প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে হাতে-কলমে শিক্ষা প্রদান করা। বৃক্ষরোপণ, নারী নির্যাতন রোধ, যৌতুক প্রথা রোধ, গ্রামে গ্রামে খাদ্য দ্রব্য পৌঁছে দেওয়াসহ নানান ধরনের কাজ পরিচালনা করে আসতেছেন। এই সংস্থাটির মুল উদ্দেশ্যে হলো ক্ষুদা মুক্ত দেশ গড়া। বেকার সমস্যা দূরীকরণ করা। বর্তমানে যে কাজটির বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন অনাহারির মুখে খাবার তুলে দেওয়া।

যেমন- কোন মানুষের এই মুহুত্বে টাকা নেই, ঘরে খাবার নেই। কিন্তু আজ হোক বা কাল হোক ওই ব্যক্তি টাকা দিবেন। এই সংস্থাটির হট লাইনে ফোন দিলেই ঘরে পৌঁছে যায় খাবার। পরে ১ মাসের মধ্যে সেই টাকা পরিশোধ করে দিবেন গ্রহীতা ওই ব্যক্তি। সকাল থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত বাড়ী বাড়ী গিয়ে কর্মীরা বলেন, কারো কিছু লাগবে নাকি। কোন অর্ডার পেলে পরের দিন সেটা ডেলিভারি দেন। এই ভাবে সংস্থাটি এগিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে তাদের ৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। যারা প্রতিনিয়ত এই সংস্থা থেকে খাদ্য দ্রব্য নিয়ে থাকেন।

নির্বাহী পরিচালক মোঃ কারিমুল ইসলাম নয়ন জানান, আমি একদিন একটি দোকানে চা খাচ্ছি ঠিক ওই মুহুত্বে এক অসহায় ব্যক্তি একটি মুদির দোকানে কিছু চাল, ডাল নেয়। ওই অসহায় ব্যক্তিটি বললো বাবা আজকে টাকা নেই কালকে দিব। ওই অসহায় দরিদ্র ব্যক্তিটির চালডাল ব্যাগ থেকে নামিয়ে নেয়। আমার খুব আফসোস হলো। এই দরিদ্র অসহায় ব্যক্তিদের জন্য কিছু করতে পারি কিনা। তখন থেকে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম। অনাহারির মুখে যেকোনো মুলে আমি খাবার তুলে দিব। ১ বছরের মাথায় এই সংস্থার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলাম। মহামারি করোনা ভাইরাসের সময় অশেষ ভূমিকা রেখেছি। এ পর্যন্ত ৩ টি শাখা খুলতে পেরেছি। বর্তমানে আমার ৩ শাখায় ৫হাজার গ্রাহক রয়েছে। সরকারের সহযোগিতা পেলে সারা বাংলাদেশে কাজ করে যাব। সেবায় লক্ষ্য সেবায় উদ্দেশ্যে ক্ষুধা মুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে আজীবন কাজ করে যাব।


সময়ের আলো/এএ/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close