ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

লাখাইতে তিন সপ্তাহে পানিতে ডুবে ৬ শিশুর মৃত্যু
প্রকাশ: শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:৩৩ পিএম  (ভিজিট : ৩৯২)
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার যেন বেড়েই চলছে, কেন বেড়েছে এই মৃত্যুর মিছিল? এর জন্য দায়ী কে, এনিয়ে চলছে নানান প্রশ্ন। গত ৩ সপ্তাহে এই উপজেলায় পানিতে ডুবে ৩ পরিবারের ৬ জন মেয়ে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু নিয়ে স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ, শঙ্কা আর উৎকণ্ঠা যেন বেড়েই চলেছে। 

তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বামৈ ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত নোয়াগাঁও গ্রামে পানিতে ডুবে সুষি আক্তার (৫) ও বর্ষা আক্তার (৪) নামে আপন দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। তারা ঐ গ্রামের সোহাগ মিয়ার মেয়ে। 

স্থানীয়রা জানান, পরিবারের লোকজনদের অগোচরে এইদিন তারা ২ বোন বাড়ির পার্শ্ববর্তী বর্ষার পানিতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে যায়। পরবর্তীতে অনেক খোঁজাখুঁজির পর স্থানীয় লোকজন তাদেরকে পানিতে ভাসমান দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে লাখাই উপজেলা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ড. মঞ্জুরুল আহসান এ প্রতিবেদককে বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মৃত্যুতে এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। 

পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে জানা যায়, গত ৩১ আগস্ট বামৈ পূর্বগ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে পাখি আক্তার (৮) ও মাইশা আক্তার (৬) নামে আপন দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে, তারা ঐ গ্রামের মো. রমিজ মিয়ার মেয়ে। অপরদিকে গত ৪ সেপ্টেম্বর স্বজনগ্রামে বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুরের পানিতে ডুবে তাহমিনা (১৭) ও সোনিয়া (১৫) নামে বাক প্রতিবন্ধী আপন দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। তারা ঐ গ্রামের সাধু মিয়ার মেয়ে। 

সচেতন মহল বলছেন, শিশুদের পানিতে ডোবার অন্যতম কারণ হলো মা–বাবা বা পরিবারের সদস্যদের অসচেতনতা। বাবারা জীবিকার তাগিদে বেশি সময় বাইরে বাইরে থাকেন এবং মায়েরা গৃহস্থালি কাজের ব্যস্ত হয়ে পড়েন; বাচ্চাকে সঠিকভাবে দেখাশোনা করতে পারেন না। ফলে একটা বাচ্চা তার মায়ের দৃষ্টিগোচরে বাড়ির পাশে পুকুর বা জলাশয়ে কাছে গিয়ে কৌতূহল বশত পানিতে নেমে যায় এবং সাঁতার না জানার কারণে পানিতে ডুবে প্রাণ হারায়। 

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু ঠেকাতে প্রতিটি পরিবারকে বেশি সচেতন থাকতে হবে। ৫/৬ বছর বয়স হলেই প্রতিটি শিশু বাচ্চাকে সাঁতার শিখাতে হবে। এছাড়াও হাসপাতালে আনতে আনতে অনেকেই বাঁচেনা। তাই যারা উদ্ধার করেন তাদের যদি প্রাথমিক ওই জ্ঞান থাকে তাহলে অনেক শিশুই বেঁচে যাবে। 

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু প্রতিরোধে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ মাসে একবার করে প্রতিটি ইউনিয়নে সচেতনতামূলক সেমিনার কর্মসূচি আয়োজন করলে মৃত্যু কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করছেন তারা।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু   লাখাই-হবিগঞ্জ  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close