প্রকাশ: বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪:১৬ এএম (ভিজিট : ৩৪২)
মাগুরার শালিখা উপজেলা সদর আড়পাড়া ইকোপার্কটিকে দৃষ্টিনন্দন করে সাজানোর প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যে সেখানে বেশ কিছু স্থাপনা ও অবকাঠামোর উন্নয়ন দৃশ্যমান। এ ছাড়া পার্কের দক্ষিণ পাশে রয়েছে প্রায় দুই কিলোমিটারজুড়ে খনন করা একটি খাল। খালের পাশেই লাগানো হয়েছে কৃষ্ণচূড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছে দোলনা, স্লিপার, বাঘ, হরিণ, জেব্রা, বক, উট, পাখিসহ মাটির তৈরি বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী। সবুজে ভরা গাছগাছালির সঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে পার্কটি দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে তুলবে। তবে পার্কের কার্যক্রম পুরোদমে চালু না হলেও সেখানে বহিরাগতদের পাশাপাশি স্থানীয়দের ভিড় জমে ওঠছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হরেকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, পার্কটির উন্নয়নের কাজ সুষ্ঠুভাবে চলছে। অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হলে দৃষ্টিনন্দন হবে পার্কটি। এই ইকোপার্কটি পুরো শালিখা উপজেলার মানুষের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র। এটাকে ঘিরে অনেক মানুষ কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখছেন। আশা করছি পুরোদমে পার্ক চালু হলে এলাকার আর্থ-সামজিক উন্নয়নও দৃশ্যমান হবে। স্থানীয়দের পাশাপাশি বাইরের দর্শনার্থীরাও বেশি বেশি ঘুরতে আসবেন। ইকোপার্কে বিভিন্ন দিবসগুলোতে মানুষের ঢল নামবে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
শালিখা উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতারা বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হচ্ছে। ইকোপার্কের অনেক কাজ এখনও বাকি রয়েছে। দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করা দরকার। পার্কটি পুরোপুরি চালু হলে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পর্যটকদের ভিড় জমবে। পাশাপাশি এখানে ব্যবসার পরিধিও বাড়বে। পার্কের দৃষ্টিনন্দন উন্নয়ন কাজের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হরেকৃষ্ণ অধিকারীকে তারা ধন্যবাদ জানান।
স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল শালিখার একমাত্র ইকোপার্কটির যেন উন্নয়ন হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রচেষ্টায় আমরা ইকোপার্ক বাস্তবায়ন দেখতে পাচ্ছি। এখন প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে দর্শনার্থী আসছেন। পিকনিক স্পটে পরিণত হয়েছে এই পার্কটি। তবে পার্ক পুরোপুরি তৈরি করতে আরও বেশ কিছু অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। তা হলে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা এখানে আসবেন।
সময়ের আলো/জিকে