প্রকাশ: সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫:৪৪ এএম (ভিজিট : ৩৬৮)
ঝালকাঠি জেলা সদর হাসপাতালে ফিল্ম না থাকায় এক্স-রে মেশিন রোগীদের কাজে আসছে না। এর ফলে দেড় মাস ধরে এক্স-রে সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া লোকবলের অভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না আলট্রাসনোগ্রাফিও। তাই বাধ্য হয়ে রোগীদের বাইরের বেসরকারি ক্লিনিক থেকে কয়েকগুণ বেশি টাকা দিয়ে এসব পরীক্ষা করাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, মানুষের ভোগান্তি কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আশা করি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহমেদ বলেন, ফিল্মের প্রয়োজন থাকলেও নানামুখী জটিলতায় তা কেনা সম্ভব হয়নি। দরপত্র গৃহীত এবং অনুমোদন হলে ফিল্ম পাওয়া যাবে বলেও জানান ডা. শামীম আহমেদ।
এ প্রসঙ্গে জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে হাসপাতালের টেকনিশিয়ান দিলীপ কুমার বলেন, হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন বেশ ভালো মানের। কিন্তু ফিল্মের অভাবে গত ৩১ জুলাই থেকে এ সেবা বন্ধ রয়েছে। ফিল্ম কবে হাতে পাওয়া যাবে তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে।
প্রতাপ এলাকা থেকে সেবা নিতে আসা রোগী সীমা আক্তার বলেন, সদর হাসপাতালে গেলে বলা হয় এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্র বন্ধ। এসব যন্ত্র চালু করলে কম খরচে এখানকার মানুষ পরীক্ষা করাতে পারত। কথা হয় আরও কয়েকজন রোগীর সঙ্গে। এ সময় তারা বলেন, হাসপাতালে এক্স-রে করাতে ২০০ টাকা লাগলেও বেসরকারি ক্লিনিকে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা লাগে। কোনো ক্ষেত্রে আরও বেশি টাকা নেওয়া হয়ে থাকে। তা ছাড়া হাসপাতালে উন্নত মানের এক্স-রে মেশিন থাকলেও বাইরে এক্স-রে করাতে হচ্ছে।
সময়ের আলো/আরএস/