ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ডিপিডিসির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে দেওয়ার দাবি বৈষম্যবিরোধী প্রকৌশলী পরিষদের
প্রকাশ: রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:৪৬ পিএম  (ভিজিট : ৫২৮)
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে দিয়ে সংস্থাটির দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের অপসারণ ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী প্রকৌশলী পরিষদ। বিগত সরকারের আমলে সংস্থাটির পদোন্নতিবঞ্চিত সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের উপযুক্ত পদে পদায়নেরও দাবি জানিয়েছে তারা। একইসঙ্গে, দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের পাচারকৃত অর্থ যৌক্তিক সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব ভবনের নিচে এক সংবাদ সম্মেলেন বৈষম্যবিরোধী প্রকৌশলী পরিষদের সমন্বয়ক প্রকৌশলী নাঈম হোসাইন এই দাবি জানান। এ সময় জিহাদুল হকসহ অন্য সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা ও কিউ এম শফিকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বদলি, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্যসহ অনিয়ম ও শত শত কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত। যার ফলে পাওয়ার সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানি-ডিপিডিসি প্রতিবছর শত শত কোটি টাকা আর্থিক লোকসান গুনছে। 

এই কর্মকর্তারা বিগত স্বৈরাচার সরকারের মদদপুষ্ট হয়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের সম্পদ আত্মসাৎ করেছে, যা বর্তমান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধামে অর্জিত স্বাধীনতার পরিপন্থী এবং শহীদদের সাথে চরম প্রতারণা। তাই দ্রুততম সময়ে দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের ডিপিডিসির গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে অপসারণ, দুর্নীতির তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা, শাস্তি নিশ্চিতকরণ ও লোপাটকৃত অর্থ যৌক্তিক সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানানো হয়। 

বৈষম্যবিরোধী প্রকৌশলী পরিষদ ডিপিডিসির যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে তারা হলেন- নির্বাহী পরিচালক (অর্থ) মো. গোলাম মোস্তফা, নির্বাহী পরিচালক (অপারেশন্স) কিউ এম শফিকুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক (এইচআর) সোনামণি চাকমা, জিটুজি প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাজিবুল হাদী ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (এইচআর) নিহার রঞ্জন সরকার, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. কাওসার আমির আলী, সাবেক কোম্পানি সচিব আসাদুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী (সেন্ট্রাল) মো.  জাহাঙ্গীর আলম, বনশ্রী ডিভিশনের সিনিয়র সহকারী হিসাবরক্ষক মো. জসিমউদ্দিন প্রমুখ।

বৈষম্যবিরোধী প্রকৌশলী পরিষদের সমন্বয়ক প্রকৌশলী নাঈম হোসাইন বলেন, দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে কিছু সংখ্যক সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাকে দীর্ঘ সময় অফিসিয়াল পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে, যার কারণে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছেন। পদোন্নতিবঞ্চিত সেই সব সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের উপযুক্ত পদসমূহে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে পদোন্নতি দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোরালো দাবি জানাচ্ছি।

ডিপিডিসি ছাড়াও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধিনস্থ কোম্পানি মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে দিয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী প্রকৌশলী পরিষদ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এসংক্রান্ত প্রস্তাবনা প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিগত স্বৈরশাসকের আমলে গত সাড়ে ১৫ বছরে ডিপিডিসির দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের নামে বিভিন্ন সময় জাতীয় দৈনিকগুলোতে প্রকাশিত সংবাদের কাটিং সংযুক্ত করা হয়।

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close