প্রকাশ: রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৯:২১ পিএম (ভিজিট : ২১৪)
ইসলামি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে বিতারিত করতে শিশু থেকে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রাণ দিলেও এখনও স্বাধীনতা অর্জিত হয়নি। আওয়ামী প্রেতাত্মারা এখনো ওঁত পেতে আছে। সুযোগ পেলেই ছোবল দেবে তারা।
দাওয়াত এবং প্রশিক্ষণে মজবুত হবে সংগঠন, জ্ঞানের আলোয় গড়বো সমাজ সফল হবে আন্দোলন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামি ছাত্রশিবির রাজশাহী অঞ্চল পশ্চিমের সাথী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। দেশের ছাত্র-জনতা জীবনবাজি এবং জীবন উৎসর্গ করে এই স্বাধীনতা এনেছেন। কোন দলের একার কৃতিত্ব নয়। তিনি শিবির নেতা শহীদ আলী রায়হানের কথা স্মরণ করে বলেন, শিবিরের পক্ষ থেকে এই আন্দোলনে কতজন শহীদ হয়েছেন তার কোন তালিকা করা হয়নি। কারণ যারা প্রাণ দিয়েছেন তারা এদেশের সন্তান ও সম্পদ। এজন্য কাউকে আলাদা করে ট্যাগ লাগানোর কিছু নাই।
তিনি বলেন, ছাত্রশিবিরকে এই স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত কেউ ভাল চোখে দেখেনি। দেখা মাত্র তাদের আক্রমণ করা হতো। সেই সাথে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা স্লোগান দিতো ধর ধর শিবির ধর একটা একটা করে জবাই কর। বিগত পনের বছরে হাজার নেতাকর্মী আটক করে জেলে দিয়েছে। সেইসাথে শত শত নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে বিগত সরকার। কিন্তু এতো কিছু করেও হাসিনা সরকার টিকে থাকতে পারেনি। তাদেরকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের মতো কোন শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক মিছিলে নিয়ে আসা যাবেনা। কোন হল দখল করা যাবেনা। যারা মেধাবী আপনা আপনি হলে সিট পাবে। ছাত্রলীগের জোর করার জন্যই শিক্ষার্থীরা তাদের ওপরে বিরক্ত হয়েছিলো। সেই কাজ করা যাবেনা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্রশিবির রাজশাহী মহানগরের সভাপতি সিফাত উল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক সিদ্দিক আহমেদ, বাংলাদেশ ছাত্রশিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আবদুল মোহাইমেন, জামায়াতে ইসলাম রাজশাহী মহানগরের আমির ড. মাওলানা কেরামত আলী, রাজশাহী মহানগরের সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন, গোলাম মর্তুজা, জসিম উদ্দিন সরকার, হাফেজ খাইরুল ইসলাম ও তৌহিদুর রহমান সুইট।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলম ইমন, নওগাঁ জেলা পূর্বের সভাপতি সারোয়ার হোসেন ও পশ্চিমের রাকিবুল হাসান। এছাড়াও ছাত্রশিবির বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও বিভিন্ন শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানের ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সময়ের আলো/আরআই