ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
বেড়েছে ডেঙ্গু, নেই বিশেষ ওয়ার্ড
প্রকাশ: রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪:১৫ এএম  (ভিজিট : ২৫২)
মেহেরপুরের গাংনীতে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। গত দেড় মাসে ১১৪ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে এখানে। এদিকে ডেঙ্গু রোগী বাড়লেও হাসপাতালে নেই কোনো আলাদা ডেঙ্গু ওয়ার্ড। এতে চিকিৎসা সুবিধা ব্যাহতের পাশাপাশি দুর্ভোগে পড়ছেন অন্য রোগীরাও। এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রানী জানান, প্রতিদিনই হাসপাতালে সম্ভাব্য ডেঙ্গু রোগীর ভিড় বাড়ছে। হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিকে তাদের রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত দেড় মাসে ১১৪ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, জায়গার অভাবে আলাদা কোনো ওয়ার্ড নেই। সেই সঙ্গে লোকবল সংকটের কারণে একই ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীদের রাখা হচ্ছে। তবে ডেঙ্গু রোগিদের মশারি টাঙিয়ে থাকতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবহাওয়াজনিত কারণে সর্দি, কাশি ও জ¦রের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই পল্লী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন স্থানীয়দের অনেকে। পরে অবস্থা গুরুতর হলে তারা হাসপাতালে আসছেন। তাদের রক্ত পরীক্ষা করলেই মিলছে ডেঙ্গুর জীবাণু। গত বছর জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৭ জন। অপরদিকে চলতি বছরের গত দেড় মাসে শনাক্ত করা হয়েছে ১২৭ জন রোগী। চলতি সেপ্টেম্বর মাসে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

শিমুলতলা গ্রামের আবদুল লতিফ বলেন, বেশ কয়েক দিন হলো শরীরে জ¦র অনুভব করি। গ্রামের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাওয়ার পরও জ¦র কমেনি। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে রক্ত পরীক্ষার করে ধরা পড়ে ডেঙ্গু জ¦র। অনেক মানুষ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আবার অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাড়িতে বসেই চিকিৎসা নেবেন বলে চলে যান।

ডেঙ্গু আক্রান্ত গাংনী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম বলেন, গত কয়েক দিন ধরে জ¦র আসছে ছাড়ছে। প্যারাসিটামল খাওয়ার পরও জ¦র না কমলে রক্ত পরীক্ষা করলে ডেঙ্গু চিহ্নিত হয়। বর্তমানে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি। 

এ ছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন গোপাল নগরের মদিনা খাতুন (৫০), হিজলবাড়িয়ার রানা আহমেদ (১৭), গাংনীর রাশেদ হোসেন (২৫), তনন মিয়া (৩১), দুলু হোসেন (৩৫), তানিয়া খাতুন (২৩), মোহাম্মদ আলী (৪৫), সাহাবুল হক (৪০), লাবনী আক্তার (৩০), আসমাউল হুসনা (৬০) করিমন নেছা (৬০)সহ আরও অনেকে। রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জ্বর আসলে শরীর কেঁপে ওঠে ও চোখ-মুখ লাল হয়ে যায়। হাত পায়ের গিরায় গিরায় ব্যথা হয়। বমি বমি ভাব লক্ষণীয়। খাবারে সম্পূর্ণ অরুচি। শরীরে কোনো শক্তি পাওয়া যায় না। তারা আরও জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাধারণ রোগীদের সঙ্গে রাখা হয়েছে। এতে সাধারণ রোগী রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে। যারা অন্য রোগ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন তাদের অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন ডেঙ্গুতে।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close