ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

পেঁয়াজ রপ্তানি শর্ত থেকে সরে দাঁড়ালো ভারত, হিলিতে কমল দাম
প্রকাশ: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:৩৫ পিএম  (ভিজিট : ৩০৪)
পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানির শর্ত থেকে সরে দাঁড়িয়েছে ভারত। অবিলম্বে তা কার্যকর হবে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এমন তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ইকোনোমিক টাইমস। এতে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা হলেও কমে আসতে পারে মনে করছেন অনেকে। যদিও ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা।

ভারতীয় গণমাধ্যমটি বলছে, শুক্রবার জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকার তাৎক্ষণিক ভাবে পেঁয়াজ রপ্তানির ন্যূনতম রপ্তানি শর্ত প্রত্যাহার করেছে। চলতি বছরের মে মাসে দেশটির সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল, তবে ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য বেঁধে দিয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রপ্তানিকারকরা আগস্টে ইটিকে জানিয়েছেন, জুন মাসে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি ৫০ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে বলে অনুমান করা হয়েছে। কারণ প্রতি টন ন্যূনতম সাড়ে পাঁচশ ডলার রপ্তানি মূল্য এবং ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক মিলিত হয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতিযোগিতার বাজারে বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হিলি স্থলবন্দরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমেছে ২০ থেকে ১০ টাকা। দেশী পেঁয়াজ কেজি প্রতি ২০ টাকা কমে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ১০ টাকা কমে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। তবে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পেলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। 

এদিকে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি কারকরা জানান, দাম কমা নিয়ে খুব একটা আশাবাদী না। তারা জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে শুধু এলসি মূল্য আইপি পারমিট কমালে হবে না, তার সঙ্গে পেঁয়াজ আমদানি করতে ভারত সরকারকে প্রতি মেট্রিক টনে যে ৪০ শতাংশ শুল্ক দিতে হয় সেটাও প্রত্যাহার করতে হবে। এ ছাড়া ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে দেশের বাজারে দাম কমের সম্ভাবনা থাকবে না।

বন্দরের আমদানিকারকরা আরও জানান, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে প্রথম পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু তারপর অনির্দিষ্টকালের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হয়। প্রায় ছয় মাস পর এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে চলতি বছরের গত ৪ মে থেকে পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য (মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস-এমইপি) নির্ধারণ করে ৫৫০ মার্কিন ডলার। এরপর থেকে আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সিনিয়র সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি সময়ে দেশের বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক পাকিস্তান, মিশর, তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। দেশে এ কারণে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। ফলে দেশের বাজারে ভারতের পেঁয়াজের চাহিদা কমে গেছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। 

তিনি আরও জানান, বিষয়টি ভারত সরকার বুঝতে পেরে এবং তাদের কৃষকদের চাপে পেঁয়াজের নির্ধারিত এলসি ৫৫০ মার্কিন ডলার প্রত্যাহার করেছে। বাংলাদেশের আমদানিকারকরা তাদের পেঁয়াজের মান দেখে শুনে দামদর ঠিক করে ২০০-৩০০ ডলারের মধ্যে আমদানি করতে পারবেন। তবে, আমরা চাচ্ছি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে যে ৪০ শতাংশ শুল্ক দিতে হচ্ছে সেটাও যেন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তাহলে দেশে ভারতের পেঁয়াজের দাম কমে ৬০ টাকার কাছাকাছি আসবে।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  পেঁয়াজ রপ্তানি শর্ত-ভারত   দাম কমল পেঁয়াজের   হিলি স্থলবন্দর  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close