ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

কিছুটা কমেছে লোডশেডিং
প্রকাশ: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৪৪ এএম আপডেট: ১৪.০৯.২০২৪ ৮:১৯ এএম  (ভিজিট : ২৭৭)
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং হয় শুক্রবার ভোরেও। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কমতে থাকায় এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা অনেক কমে যায়। এদিকে সামিটের এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। একই দিন দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ নং ইউনিট উৎপাদনে ফিরেছে। এসব কারণে শুক্রবার সারা দেশে লোডশেডিং ছিল না বললেই চলে।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত ১টায় লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ২৮৭ মেগাওয়াট। শুক্রবার ডে পিক আওয়ার দুপুর ১২টায় লোডশেডিং ছিল মাত্র ১২০ মেগাওয়াট। এ সময় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল মাত্র ১২ হাজার ৫৮৯ মেগাওয়াট। এরপর থেকে চাহিদা আরও কমতে থাকে। সন্ধ্যা ৬টায় এ চাহিদা দাঁড়ায় মাত্র ১০ হাজার ৭১০ মেগাওয়াটে। এ সময় লোডশেডিং হয়েছে মাত্র ৪৬ মেগাওয়াট।

পেট্রোবাংলার ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার গ্যাস উৎপাদন হয়েছে ২৬৩ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে আমদানি করা এলএনজি সরবরাহ করা হয়েছে ৬১ কোটি ঘনফুট। সামিটের এলএনজি টার্মিানল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু করার আগে ৫০ কোটি ঘনফুটের মতো সরবরাহ করা হচ্ছিল। সে হিসাবে সরবরাহ বেড়েছে ১০ কোটি ঘনফুট। শুক্রবার বিদ্যুতের চাহিদা বেশি না থাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসও কম সরবরাহ করা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাবে বলা হয়েছে, আগামী ১-২ দিন আবহাওয়া অনুকূলে থাকবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এরপর আবার বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে। তবে এখন থেকে লোডশেডিং কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে পুরোপরি নিয়ন্ত্রণে আসবে। আদানির বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাদের সরবরাহ বাড়াতে বলা হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪টায় ১ হাজার ১২৩ মেগাওয়াট সরবরাহ করেছে, যা গত কয়েক দিনের মধ্য সর্বোচ্চ। এ ছাড়া স্পট মার্কেট থেকে ১৬ কার্গো এলএনজি কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ এলএনজি আসতে কিছুটা সময় লাগবে। সে জন্য দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কেনা এলএনজির চালান এগিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২৫ তারিখের মধ্যে চলে আসবে। তখন গ্যাস সরবরাহ বাড়লে বিদ্যুতের ঘাটতিও কমবে।
এদিকে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ থাকার তিন দিন পর ১ নং ইউনিট আংশিকভাবে উৎপাদনে এসেছে, যা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক সময়ের আলোকে জানান, ওভারহোলিং শেষে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নং ইউনিটটিতে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার পর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। উৎপাদিত ৬০ থেকে ৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। আর এ ইউনিটটি সচল রাখতে প্রতিদিন ৮০০ থেকে ৯০০ টন কয়লার প্রয়োজন হবে। তবে আপাতত কয়লার কোনো ঘাটতি হবে না বলে জানান তিনি।

চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হারবিন ইন্টারন্যাশনালের কাছে যন্ত্রাংশ সরবরাহ পাওয়া গেলে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সোমবার বন্ধ হয়ে পড়া তৃতীয় ইউনিটটি কয়েক দিনের মধ্যে সচল করা সম্ভব হবে আশা করছেন প্রধান প্রকৌশলী।

সময়ের আলোর দিনাজপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে লোডশেডিং কমেছে দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলে। কৃষিক্ষেত্রে চাষাবাদে বিদ্যুৎনির্ভর সেচযন্ত্রের পাশাপাশি ভোগান্তি কমেছে অন্যান্য সেক্টরে। উৎপাদনে প্রাণচাঞ্চল্য বেড়েছে চালকলসহ শিল্প কারখানায়।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সময়ের আলোকে বলেন, আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি উন্নতির কথা বলেছিলাম। তবে ২ সপ্তাহের মধ্যেই উন্নতি হবে। সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আদানির বকেয়া দেওয়া হচ্ছে। তাদের সরবরাহ বাড়াতে বলা হয়েছে। স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটাতে একটু সময় লাগে। তাই দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে যে এলএনজি আমরা কিনি সেটা একটু আগে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, ২৫ তারিখের মধ্যে চলে আসবে। তখন গ্যাস সরবরাহ বাড়বে, বিদ্যুতের ঘাটতিও থাকবে না।


সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close