ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

বেড়েছে খুন-ছিনতাই
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:১২ এএম  (ভিজিট : ৫১৮)
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে খুন-ছিনতাই ও চুরির ঘটনা। বিশেষ করে গত ৫ আগস্টের প্রেক্ষাপটের পর থেকে এসব নৃশংস ঘটনা বেড়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ব্যবসায়িক, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, চাঁদাবাজি এবং ছিনতাইয়ের কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা বাড়ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে। যদিও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। 

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরই রাজধানীসহ সারা দেশে চার শতাধিক থানায় হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ-লুটপাটের ঘটনা ঘটে। থানার ভেতরের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়েছে, হয়েছে অস্ত্র লুট। এই হামলায় ভেঙে পড়ে থানার সার্বিক কার্যক্রম, সঙ্গে পুলিশের মনোবল। এরপর থেকেই আইনশৃঙ্খলার অবনতি শুরু। থানায় কার্যক্রম চললেও পর্যাপ্ত টহল গাড়ি না থাকায় ঘুরে ঘুরে এলাকার আইনশৃঙ্খলা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এদিকে লুট হওয়া অস্ত্র-গোলাবারুদের একটা বড় অংশ এখনও উদ্ধার হয়নি। যেগুলো রয়েছে সাধারণ মানুষ ও সন্ত্রাসীদের হাতে। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। এই সুযোগে অপরাধী চক্র সুযোগ নিচ্ছে বলে জানা গেছে। 

রাজধানীর উল্লেখযোগ্য হত্যাকাণ্ড : বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে বিপুলসংখ্যক হতাহতের বাইরে গত ৬ আগস্ট ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বিক্ষোভে জাবেদ (২৩) নামে এক কয়েদি গুলিবিদ্ধ হয়ে পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। যাত্রাবাড়ীতে গত ১৩ আগস্ট রিকশা চুরির অভিযোগে নাহিদ নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। একই দিনে গেণ্ডারিয়ায় বসুবাজার লেনে দুর্বৃত্তের গুলিতে আনিছ নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। গত ১৪ আগস্ট সায়েদাবাদে মারধরের শিকার হয়ে দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হন। নিহতরা হলেন-রাহাত হাসান বিপু (৫৩) ও দুই শিক্ষার্থী-আরাফাত শরীফ (১৯), সাইদুল ইসলাম ইয়াসিন (১৯)। একই দিনে রাজধানীর ওয়ারীতে আলামিন ভূঁইয়া ও নুরুল আমিন ভূঁইয়া নামে দুই ভাইকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর ১৫ আগস্ট রাজধানীর কাওলায় নুরুজ্জামান হাওলাদার নামে এক গাড়িচালককে হত্যা করা হয়। তিনি বাংলাদেশ সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটির চিফ ইঞ্জিনিয়ারের গাড়িচালক ছিলেন। গত ২২ আগস্ট রাজধানীর সবুজবাগ রাজারবাগ এলাকায় আলমগীর নামে এক যুবক ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হলে পরের দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত ২৪ আগস্ট রামপুরায় ছুরিকাঘাতে হাফিজুর রহমান (১৮) নামে এক যুবক নিহত হয়। এ সময় আহত হয় আকাশ আহমেদ (১৭)। ২৯ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে একটি বাসায় কান্তারা বেগম ওরফে বানু নামে এক বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ ওঠে। গত ৩০ আগস্ট হাজারীবাগে গণকটুলি এলাকায় ছুরিকাঘাতে ইফতিয়ার হোসেন (২৪) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি ২২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য ছিলেন। এরপর ৩১ আগস্ট খিলগাঁওয়ে ফ্লাইওভারের বাসাবো ঢালে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে বসু মিয়া (৪০) নামে এক অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছেন। একই দিনে বনশ্রী নড়াইল নদী থেকে মাহফুজুর রহমান বিপ্লব (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর এক দিন আগে নিহত বিপ্লবের স্ত্রী খিলগাঁও থানায় নিখোঁজের জিডি করেন। গত ২৫ আগস্ট সচিবালয়ে আনসার-শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত শাহীন হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি ৪ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত ২৮ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে একটি বাসায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে সীমা আক্তার (২২) ও তার নবজাতক সন্তান মারা যান। তিনি ২৯ আগস্ট সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ৩১ আগস্ট কদমতলী পাটেরবাগ মিনাবাগ থেকে মাহবুব (২৫) নামে এক যুবকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর বাইরেও দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে নৃশংস হত্যার ঘটনা। তা ছাড়া ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে অহরহ। 

দেশের বিভিন্ন স্থানের কয়েকটি আলোচিত বা নৃশংস হত্যাকাণ্ড : ৬ আগস্ট বাগেরহাটে ঘরে ঢুকে সাবেক স্কুলশিক্ষক মৃণাল কান্তি চ্যাটার্জিকে (৬৫) পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় আহত হন স্ত্রী শেফালি চ্যাটার্জি (৬০) ও মেয়ে ঝুমা রানী চ্যাটার্জি (৩৫)। ১৪ আগস্ট সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হন। পূর্ববিরোধের জেরে ৩ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় বেলাল উদ্দিন (৪৫) নামের এক যুবদল নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ৭ সেপ্টেম্বর রাতে চার দিন বয়সের শিশুসন্তানের জন্য ওষুধ কিনতে গিয়ে পিটুনিতে মারা যান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল মাসুদ। ২০১৪ সাল থেকে পঙ্গু অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছিলেন মাসুদ। এই ঘটনা সারা দেশে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। বগুড়ায় দলীয় কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমানকে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর রাতে ওই হামলার সময় ল্যাদো (৩৫) নামে এক যুবদলের কর্মী গণপিটুনিতে নিহত হন। ১৭ আগস্ট কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকায় গরু চুরির অপবাদ দিয়ে সাজ্জাদ হোসেন (২১) নামে এক তরুণকে তুলে নিয়ে রাতভর পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ১০ সেপ্টেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় শুক্কুরসহ তার বাহিনীর ১৫-২০ জন এক গার্মেন্ট শ্রমিকের কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার সময় ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করে। নিহত গার্মেন্ট শ্রমিকের নাম শামীম (১৮)। এ সময় আহত হন শামীমের বন্ধু বিজয়।  

ছিনতাইয়ের ঘটনাও বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে : গত ৪ সেপ্টেম্বর কদমতলী মেরাজনগরে কুপিয়ে অজ্ঞাত (২৫) এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। একই দিন সকালে রাজধানীর দারুসসালাম টেকনিক্যাল মোড় এলাকায় ছিনতাইকারীদের গুলিতে রইস বেপারি (৪০) নামের এক মাংস ব্যবসায়ী আহত হন। তার কাছ থেকে ছিনতাইকারীরা ৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপর গত ৭ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যানের বাসিন্দা মুজাহিদুল ইসলাম সকাল সাড়ে ৬টায় বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থল গাজীপুর যাচ্ছিলেন। নবোদয় কনফেকশন হলের পাশে চার ছিনতাইকারী তার রিকশার গতিরোধ করে আকস্মিক এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মানিব্যাগ ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তথ্য বলছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর হাজারীবাগে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সাদেকিন ইসলাম (১৭) এক কিশোরের মৃত্যু হয়। সে পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ছিল। একই দিনে কদমতলীর মেরাজনগরে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে মো. হাসেম (৪৮) নামে কাঁচামাল বিক্রেতার মৃত্যু হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের জখম ছিল। এদিকে গত ৪ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে মাদক কারবার ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গুলিতে সনু (৩২) নামে এক অটোরিকশা চালক নিহত হন। 

জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দারা জানান, গত এক মাস ধরে তাদের ক্যাম্পে থেমে থেমেই এমন সংঘর্ষ চলছিল। বুনিয়া সোহেল, রানা, টুনটুন, বাবু, নওশাদ, ইরফান, আরিফ, সাজ্জাদসহ ৪০-৫০ জন মিলে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে বের হয়ে হামলা চালায়। আর এই হামলায় সনু নিহত হন। 

এ ছাড়া শাহবাগ, মতিঝিল, খিলগাঁও, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, ভাটারা, শেরেবাংলা নগর, রামপুরা, হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, উত্তরা পশ্চিম ও পল্লবী, কারওয়ান বাজার, হাতিরঝিল ও তেজগাঁও রেলস্টেশন ছিনতাইয়ের অন্যতম হটস্পট। এসব এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার ভুক্তভোগীরা বেশিরভাগই থানায় অভিযোগ করেন না। আবার অভিযোগ করলেও বেশিরভাগই হয় সাধারণ ডায়েরি (জিডি)।

যা বলছেন পুলিশ কর্মকর্তারা : হত্যা-ছিনতাই বাড়লেও সেটা মানতে নারাজ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. ইসরাইল হাওলাদার। তিনি সময়ের আলোকে বলেন, দুয়েকটা এরকম ঘটনা (হত্যা-ছিনতাই) ঘটেছে। এ রকম ঘটনা অনেকটা স্বাভাবিক। প্রথমদিকে (৫ আগস্ট থেকে) কয়েকটা ঘটনা ঘটেছে। এখন পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আমাদের জানা মতে সপ্তাহখানেক ধরে কোনো ছিনতাইয়ের ঘটনা হচ্ছে না, মামলাও হচ্ছে না।
টহল পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আগে প্রতি থানায় ৮টি টহল দল ছিল। ৫ আগস্ট গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার পর এখন কোনো থানায় দুটি টহল গাড়ি আছে, কোনো থানায় তিনটি, সর্বোচ্চ চারটি আছে। রাতারাতি তো আমরা গাড়ি বানাতে পারছি না। লোকালি গাড়ি জোগাড় করার চেষ্টা করছি। যে গাড়িগুলো মেরামতযোগ্য সেগুলো মেরামতের কাজ চলছে। থানায় দুই-তিনটি গাড়ি দিয়ে পুরো এলাকা টহলের চেষ্টা চলছে।   

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, জুন মাসে রাজধানীতে হত্যা মামলা হয় ১৩টি। জুলাই মাসে হত্যা মামলা হয় ৫৯টি এবং আগস্ট মাসে (৫ থেকে ৩১ আগস্ট) হত্যা মামলা হয় ১১১টি। তবে ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের ঘটনার কারণে জুলাই ও আগস্ট মাসে হত্যা মামলা বেশি হয়েছে। আন্দোলনের বাইরে হত্যার ঘটনায় আলাদা তথ্য জানাতে পারেনি ডিএমপি। এদিকে আগস্টে (৫ থেকে ৩১ আগস্ট) ডাকাতির ঘটনার সংবাদ ব্যাপক প্রচার হলেও মামলা হয়েছে মাত্র ৪টি। একই সময়ে দস্যুতার মামলা হয়েছে ৩টি। পুলিশ বলছে, থানার কার্যক্রম স্বাভাবিক না থাকায় ডাকাতি ও দস্যুতার মামলা কম হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে হয়েছে সাধারণ ডায়েরি।

অপরাধ বিশেষজ্ঞ যা বলছেন : সার্বিক বিষয় জানার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক সময়ের আলোকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে আরও কিছু সময় লাগবে। যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। এতে আইনশৃঙ্খলা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে। বড় রাজনৈতিক দলের সক্ষমতা তৃণমূল পর্যন্ত। নেতারা যদি নিজ নিজ এলাকায় শিষ্টাচার মানানোর জন্য সর্বোচ্চ কঠোর হন, তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঘাটতিটুকু পূরণ হয়ে যায়। আবার নেতারা বললেও কর্মীরা সবাই যে মেনে চলছেন তা-ও না। কিছু ঘটনা তো ঘটছে। পূর্ণমাত্রায় স্বাভাবিক হতে এখনও সময় লাগবে। সবাই যদি সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালন করেন তবে কমে আসবে।


সময়ের আলো/আরএস/ 





https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close