প্রকাশ: বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৯:০৯ পিএম আপডেট: ১২.০৯.২০২৪ ৯:৫২ পিএম (ভিজিট : ৪৩১)
অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে কমপ্লিট শাটডাউন চলছে। এতে একাডেমিক কার্যক্রমসহ কলেজে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ক্যাম্পাসটির ভেতরে কেউ ঢুকতে পারছেন এবং কেউ বের হতেও পারছেনা।
গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে স্বৈরাচার আখ্যা দিয়ে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাকির হোসাইন, উপাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন ও সার্জারি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ কামরুল হোসাইনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি দেয় শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। পরে তারা পার শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়। কিন্তু চার শিক্ষক পদত্যাগ না করায় আর প্রশাসন নিশ্চুপ থাকায় শিক্ষার্থীরা বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে কলেজে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করে এবং অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, খুনি ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক সৈয়দ ডা. কামরুল হোসাইন ও ডা. রিয়াজকে অপসারণ করতে হবে। তারা আমাদের দাবিতে কর্ণপাত করছেনা। আমাদের দাবি মেনে নিচ্ছেনা। আমরা শ্রেণি কক্ষে ফিরে যেতে চাই। দাবি মেনে নিয়ে তারা পদত্যাগ করুক, তাহলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তারা যত বিলম্ভ করবে ততই সমস্যা ঘণীভূত হবে। তারা পদত্যাগ করুক, না হলে আরো কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি দিয়েছি। তারা কালক্ষেপণ করছেন, তবে পদত্যাগ করছেনা। তারা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অন্দোলন চলবে। তাদের পদত্যাগ ছাড়া আমরা শ্রেণি কক্ষে ফিরে যাবোনা। পদত্যাগ ছাড়া তাদের কোনো পথ নেই। কারণ তারা বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে তাবেদারী করে চলেছেন। তারা হাসিনার দোসর। আমরা স্বৈরাচারী হাসিনার দোসর মুক্ত ক্যাম্পাস চাই।
এদিকে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে শাটডাউনের কারণে ডোপ টেষ্ট দিতে আসা বিদেশগামীরা পড়েছেন বিপাকে। প্রধান ফটকে তালা দেওয়ার কারণে ভিতরে ঢুকতে পারছেনা। একাডেমিক ভবনসহ ক্লাস রুমে ঝুলছে তালা। বিভিন্ন বিভাগের অফিস রুমও আছে বন্ধ। কমপ্লিট শাটডাউনে অচল নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ।
ডোপ টেষ্ট দিতে আসা বিদেশগামীরা বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে আমরা ডোপ টেস্ট দিতে পারি নাই। আমাদের অনেকের ফ্লাইট আছে বিদেশ যাওয়ার। দ্রুত ডোপ টেস্ট না দিতে পারলে ক্ষতি হয়ে যাবে।
সময়ের আলো/জিকে