ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

লক্ষাধিক কোটি টাকা পাচার এস আলমের
দোসররা এখনও সক্রিয়
প্রকাশ: বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫:৩৪ এএম  (ভিজিট : ৩২৯৪)
ব্যাংকিং খাত প্রায় একাই ধসিয়ে দিয়েছেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী ও এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল ইসলাম। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে লক্ষাধিক কোটি টাকার ঋণ নিয়ে পাচারের অভিযোগ রয়েছে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে। ঋণের নামে অর্থ লোপাটের কাজে একদিকে যেমন সহযোগিতা করেছেন বিদায়ি গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, অন্যদিকে বিভিন্ন ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও তার দোসর হয়ে কাজ করেছেন।

এমনই একজন ব্যক্তি ও এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন ইউনিয়ন ব্যাংকে দুর্নীতির সহযোগী হাবিবুর রহমানকে এবার স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এমডি পদে নিয়োগের তৎপরতা শুরু হয়েছে। যিনি ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুদকের মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি। তিনি এস আলম গ্রুপের কবলে থাকা ইউনিয়ন ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া দুর্নীতির দায়ে হাইকোর্টের আদেশে তিনি সর্বশেষ স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) পদ থেকেও পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

এ রকম বিতর্কিত ব্যক্তিকে আবারও ব্যাংকটির এমডি পদে ফিরিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকে এস আলমপন্থি হিসেবে পরিচিত বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মহলের চাপ ও প্ররোচণায় স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ গত ৫ সেপ্টেম্বরের বোর্ড সভায় তাকে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়। গত সোমবার এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক থেকে অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৬ মে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এমডি হাবিবুর রহমানকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওই নির্দেশনায় তখন আগামী ৬০ দিনের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তির কথা বলা হয়েছিল। আদেশের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রিটকারীর আইনজীবী মো. বেল্লাল হোসেইন শাহীন ও আবু তালেব জ্যাকব। তারা জানান, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের একজন গ্রাহকের করা রিটের শুনানি শেষে ব্যাংকের এমডি ও সিইও হাবিবুর রহমানকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন নিষ্পত্তিতে এই আদেশ দেন আদালত। কিন্তু আদালতের আদেশ নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই বিতর্কিত ও পদত্যাগী এমডিকে আবার স্বপদে ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা চলছে।

জানা গেছে, চাকরি জীবনে হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা শুরু হয় মার্কেন্টাইল ব্যাংক থেকে। এ ঘটনায় ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মতিঝিল থানায় করা দুদকের মামলায় স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের তৎকালীন এমডি মো. হাবিবুর রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বর্তমানে তিনি এ মামলায় জামিনে রয়েছেন। মতিঝিল থানার দণ্ডবিধি ৪০৬/৪০৯/৪২০/১০৯ ধারায় মামলা করা হয়। মামলা নং জিআর ৯৭/২০১৮। যা বর্তমানে মেট্রো স্পেশাল মামলা নং ২৭২/২২ হিসেবে চলমান।

জানা যায়, পরবর্তী সময়ে হাবিবুর রহমান বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন ইউনিয়ন ব্যাংকে ২০২১ সালে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা হিসেবে যোগ দিলে সেখানেও ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় তিনি বিতর্কিত হন বলে অভিযোগ রয়েছে। দুই বছর আগে অর্থাৎ ২০২২ সালে ইউনিয়ন ব্যাংকের বিতরণ করা বেশিরভাগ ঋণে বড় ধরনের অনিয়ম খুঁজে পায় বাংলাদেশ ব্যাংক। শুধু ট্রেড লাইসেন্সের ভিত্তিতে কোম্পানি গঠন করে ঋণের বড় অংশই বের করে নিয়েছে প্রায় ৩০০ প্রতিষ্ঠান।

আবার অনেক ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্সও ছিল না। কাগুজে এসব কোম্পানিকে দেওয়া ঋণের বেশিরভাগেরই খোঁজ পাওয়া যায়নি। ফলে এসব ঋণ আদায়ও হচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণের ১৮ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা খেলাপি হওয়ার যোগ্য, যা ব্যাংকটির মোট ঋণের ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ ব্যাংকটির সিংহভাগই খেলাপি বা অনিয়মের ঋণে পরিণত হয়েছে। এ অনিয়মের ঘটনায় ইউনিয়ন ব্যাংকের সেই সময়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাম্মেল হক চৌধুরী ও ব্যাংকটির সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কারণ দুজনই এস আলমের অপকর্ম ও দুর্নীতির ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। এসব অনিয়মের বিষয়ে সে সময় ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে একটি চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সতর্কও করা হয়েছিল। 

এ বিষয়ে ওই সময় হাবিবুর রহমানের কাছে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি কোনো জবাব না দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যান। এ ছাড়া তিনি একই দায়িত্বে থাকাকালে এস আলমের ইউনিয়ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়-সংলগ্ন শাখার ভল্ট থেকে ১৯ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনাও ঘটে, যা সেই সময়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা এবং ঋণ বিতরণে যেসব অনিয়মের কথা বলা হচ্ছে তা সবই ষড়যন্ত্রের অংশ। 

তিনি বলেন, কখনো কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না, ভবিষ্যতেও থাকব না। একটি বিশেষ মহল বরাবরই আমার বিরুদ্ধে কাজ করছে। 

দুদকের মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি আইনগতভাবেই মোকাবিলা করা হবে। তিনি ন্যায়বিচার পাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন।

অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালায় বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপযুক্ত, পেশাগতভাবে দক্ষ, অভিজ্ঞ ব্যক্তিই এমডি হতে পারবেন। তবে ফৌজদারি আদালতে দণ্ডিত কিংবা জালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ বা অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তি ব্যাংকের এমডি হতে পারবেন না। এ ছাড়া অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও নৈতিক স্খলনের মতো ঘটনায় জড়িত থাকলে তিনি এ পদের যোগ্য হবেন না।

আইন বিশেষজ্ঞরাও মনে করেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করলেই হাবিবুর রহমান পুনরায় আর এমডি হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন না। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে দুদকের যে মামলা চলমান তাতে তিনি নৈতিকভাবেই এ পদে আর থাকতে পারেন না। রাজনৈতিক কারণে গত সরকারের সময় যারা বঞ্চিত হয়েছেন তাদের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সহানুভূতিশীল, কিন্তু ব্যক্তিগত দুর্নীতির কারণে কেউ যদি সুবিধাবঞ্চিত হয়ে থাকে তাকে সেই সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব বর্তমান সরকার নেয়নি। বরং যারা দুর্নীতিবাজ ও আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত তাদের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বলে আসছেন, আর্থিক খাতের কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। বিশেষ করে ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতে লুটপাট ও অর্থ পাচারকারীরা আইনের আওতায় আসবেন। অন্যদিকে এস আলমের সহযোগী হাবিবুর রহমানকে পুনরায় এমডি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় অস্থিরতা বিরাজ করছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে। 

ব্যাংকটির একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের একজন গ্রাহক কর্তৃক এরূপ একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে এমডি পদে না রাখার আবেদন হাইকোর্টে করা হলে মহামান্য হাইকোর্ট তার বিষয়ে তিন মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে আদেশ প্রদান করেন। যার ফলশ্রুতিতে হাবিবুর রহমান স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক হতে পদত্যাগ করেন। এখন মহামান্য আদালতের নির্দেশনা মেনেই এমডি নিয়োগের বিষয়টির সমাধান হওয়া উচিত।

জানা গেছে, দেশের প্রায় সব ইসলামী ব্যাংক যখন এস আলম গ্রুপের লুটপাটের কারণে প্রায় দেউলিয়া হওয়ার পথে রয়েছে, সেখানে হাতে গোনা দুয়েকটি ইসলামী ব্যাংক এখনও আছে যেখানে এস আলম লুট করতে পারেনি। কিন্তু এস আলমের সহযোগী হাবিবুর রহমান স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এমডি হিসেবে পুনর্নিয়োগ পেলে এই ব্যাংকটিও ধ্বংস হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

এর আগে গত ২৮ এপ্রিল দুদকের মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে হাবিবুর রহমানের যোগসাজশ গোচরীভূত না হওয়ায় মামলার এজাহারে আসামি হিসেবে তার নাম উল্লিখিত ছিল না। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে এফআইআরে অন্তর্ভুক্ত কয়েকজনের অপরাধের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি, বরং হাবিবুর রহমান কীভাবে প্রতারণামূলকভাবে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে খারাপ ঋণ সৃষ্টি করেছেন তার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। অধিকন্তু মঞ্জুরিপত্র ব্যতীত কোনো ঋণ প্রদান করা হলে সেটি কোনো বৈধ ঋণ হিসেবে স্বীকৃত হয় না। হাবিবুর রহমান জেনেশুনে যে ঋণের কোনো মঞ্জুরিপত্র নেই, অর্থাৎ অবৈধ ঋণ, সেই ঋণ পুনঃতফসিল করার জন্য সুপারিশ করেছেন তারও স্পষ্ট দলিল পাওয়া যায়।

এ কারণে ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি দাখিলকৃত চার্জশিটে এজাহারে বর্ণিত কিছু আসামির নাম বাদ পড়ে এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্তে সুস্পষ্ট দালিলিক প্রমাণ পাওয়ার কারণে হাবিবুর রহমানের নাম যুক্ত হয়। মামলার চার্জশিট থেকে জানা যায়, এই মামলার অন্যতম আসামি হাবিবুর রহমান ২০০০-০৩ সালে মার্কেন্টাইল ব্যাংকে কর্মরত অবস্থায় ব্যাংকের গ্রাহক প্যাট্রিক ফ্যাশনস লিমিটেডের নামে ঋণ প্রস্তাবের সুপারিশ করেন এবং পরবর্তী সময়ে পুনঃতফসিলের সুপারিশ করেন। তিনি উক্ত ব্যাংকের ক্রেডিট ডিভিশনের তৎকালীন ইনচার্জ হিসেবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটির সভায় প্যাট্রিক ফ্যাশনসের সিআইবি রিপোর্ট সম্পর্কিত অসত্য তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করান।

যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তি না পাওয়ায় উক্ত ঋণ প্রস্তাবের মঞ্জুরিপত্র ইস্যু করেনি মার্কেন্টাইল ব্যাংক। মঞ্জুরিপত্র ছাড়াই কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে ওই প্রতিষ্ঠানকে ৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ঋণ দেন হাবিবুর রহমান। পরবর্তী সময়ে তিনি ওই ঋণ পুনঃতফসিলের জন্যও সুপারিশ করেন। ঋণের সুদ বাবদ ৩ কোটি ৭১ লাখ ৩ হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কেন্টাইল ব্যাংকে। ওই ঋণ আত্মসাতের ঘটনায় সব মিলিয়ে ১১ কোটি টাকা হারিয়েছে ব্যাংকটি। ঘটনার সময় মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ক্রেডিট ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্টের (এভিপি) দায়িত্বে ছিলেন হাবিবুর রহমান।

এই ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়লে ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে হাবিবুর রহমানসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন।



সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close