ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

বিদ্যুৎ ঘাটতিতে বেড়েছে লোডশেডিং, সময়োপযোগী ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা জরুরি
প্রকাশ: বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:২৩ এএম আপডেট: ১১.০৯.২০২৪ ৭:৪৯ এএম  (ভিজিট : ২৮১)
দেশজুড়ে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। এর মধ্যেও সারা দেশে দীর্ঘ সময়জুড়ে লোডশেডিং করা হচ্ছে। রাজধানী ঢাকায় তুলনামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বেশি থাকে তবু লোডশেডিং হচ্ছে। কিন্তু জেলা এবং গ্রামীণ এলাকাগুলোয় দিনের বড় একটা সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে তীব্র গরমের মধ্যে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন। গণমাধ্যমগুলো থেকে জানা যায়, গত তিন বছর ধরে গরম বাড়লেই লোডশেডিংয়ে ভুগতে হচ্ছে মানুষকে। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোর জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানি নেই। ফলে বেড়েছে লোডশেডিং। সোমবার গড়ে দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং করতে হয়েছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত সময়ের আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে ভারতীয় কোম্পানি আদানি পাওয়ার। কোম্পানিটি আগে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের মতো সরবরাহ করলেও গত ৫ আগস্ট থেকে ১ হাজার মেগাওয়াট সরবরাহ করছে। ভারতের ঝাড়খণ্ডের গড্ডা কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়বাবদ আদানির কাছে বাংলাদেশের বকেয়া পড়েছে ৮০ কোটি ডলার। এরপর থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ কমানো হয়েছে। বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ পাওনা অর্থ চেয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি লিখেছেন ভারতের আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। ভারতীয় গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আদানি পাওয়ার বলেছে, আর্থিক চাপ সত্ত্বেও তারা বাংলাদেশে বিদ্যুতের নির্ভরযোগ্য সরবরাহ বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

কয়েক দিন ধরে ঢাকাসহ সারা দেশে বেড়েছে লোডশেডিং। মফস্বলের অবস্থা খুবই খারাপ। সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একাধিকবার এক থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সময় লাগবে।

অন্যদিকে গত তিন মাস ধরে বন্ধ থাকা সামিটের এলএনজি টার্মিনালটি এখনও অপারেশনে না আসায় গ্যাসের ঘাটতি বেড়েছে। এ ছাড়া হঠাৎ গরম বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে কিন্তু উৎপাদন বাড়েনি। এ জন্য লোডশেডিং হচ্ছে। আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে সামিটের এলএনজি টার্মিনালটি থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে সংকট কেটে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির চাহিদা। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ ও গ্যাস পাওয়া না গেলে শিল্পোদ্যোক্তা-ব্যবসায়ীরা সীমাহীন ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। এ অবস্থায় শিল্প খাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের প্রাপ্যতা নিশ্চিতের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করি আমরা। সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সময়োপযোগী ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করবে-এটাই আমাদের প্রত্যাশা।


সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close