প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৯:৩৭ পিএম (ভিজিট : ১৭৪)
নড়াইলের লোহাগড়ায় বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও চাঁদা দাবির অভিযোগে সাবেক পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন, লোহাগড়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন, সাবেক ওসি (তদন্ত) হারান চন্দ্র পাল, এসআই মো. মিজানুর রহমান, এসআই সবুর, লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমীন ইতি, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীসহ ৩৪ জনের নামে মামলা করেছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) লোহাগড়া উপজেলার পারশালনগর গ্রামের মো. মনির হোসেনের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম লোহাগড়া আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করে। আজ (মঙ্গলবার) আমলি আদালত লোহাগড়া বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই যশোরকে তদন্ত করে আগামী ১৬ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) অ্যাডভোকেট ইমদাদুল ইসলাম এমদাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা মোতাবেক দলীয় কর্মসূচি পালন করতে লোহাগড়া আর্মি ক্যাম্পের সামনে বাদীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিলের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। এ সময় পূর্ব থেকে ওতপেতে থাকা আসামিরা মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এসময় আসামি নড়াইলের সাবেক পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুনের হুকুমে অন্যান্য আসামিরা বাদীসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। বিএনপির নেতাকর্মীদের পিছু পিছু ধাওয়া করে কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিমের বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে বাড়ির মধ্যে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ধরনের ২০/৩০টি মোটরসাইকেল আসামিরা পিটিয়ে ভাঙচুর করে ব্যবহার অনুপযোগী করে ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি করে এবং কিছু মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
বাদী ফরিদপুর মেডিকেলে দীর্ঘদিন চিকিৎসা গ্রহণ করে। আসামিরা যাওয়ার সময় বাদীসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের হুমকি দিয়ে বলে চাঁদা দিবি না হলে তোদের দেশে থাকতে দেবো না। ঘটনার সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় এবং আসামিদের কয়েকজন পুলিশের লোক হওয়ায় তখন লোহাগড়া থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ করে নাই। বর্তমান সরকারের সময় দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকায় আদালতে মামলা করেছেন বলে বাদী তার আরজিতে উল্লেখ করেছেন।
সময়ের আলো/আরআই