ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

ভুক্তভোগী শতাধিক মানুষের মানববন্ধন
মাছের খামারে কারণে ত্রিশালে অনাবাদী ২০০ একর জমি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:৩৫ পিএম  (ভিজিট : ২৯৪)
ময়মনসিংহের ত্রিশালে অপরিকল্পিত মাছের খামারের কারণে অন্তত ২০০ একর জমি অনাবাদী অবস্থায় রয়েছে। গত আট বছর ধরে এ অবস্থা চলছে। সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক. ম মোজাম্মেল হকের ছেলের বন্ধু পরিচয়ে এ কাজ করছে সাজ্জাদ হোসেন। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগীরা এলাকায় মানববন্ধন করেছেন। 

উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের বাদামিয়া আইত্তাকুড়ি ও হিংরাকুড়ি বিলের পানি খিরু নদ দিয়ে নেমে যেতো। ২০১৭ সালে বাদামিয়া এলাকায় অন্তত ১০০ একর জমিতে মাছের খামার করেন সাজ্জাদ হোসেন (লালন) নামের এক ব্যক্তি। তিনি একই ইউনিয়নের খারহর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সদ্য সাবেক সদ্য সাবেক মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হকের ছেলের বন্ধু পরিচয় দিতেন। এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে অন্তত ৭০ একর জমি ও নিজের কেনা জমি মিলে মাছের খামারটি করেন। মাছের খামার করার কারণে বিল এলাকার পানি নিষ্কাশিত হতে না পারায় ২০০ একর জমি অনাবাদী অবস্থায় রয়েছে। গত ৮ বছর ফসলি জমি অনাবাদী থাকায় প্রতিকার চেয়ে ২০১৭ সাল থেকে প্রশাসনের কাছে ঘুরছেন ভুক্তভোগীরা। কিন্তু মন্ত্রীর ছেলের বন্ধু হওয়ার কারণে প্রতিকার মিলছে না। 

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টায় বাদামিয়া মোড় এলাকায় ভুক্তভোগী শতাধিক মানুষ মানববন্ধন করেন। ব্যানারে লেখা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা অপব্যবহার করে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হকের পরিবারের ব্যবসায়ীক পার্টনার ত্রিশাল উপজেলার ভূমি দস্যু সাজ্জাদ হোসেন ও তার দোসরদের বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন। 

আবদুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় শাহনেওয়াজ লিটনসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, সাবেক মন্ত্রীর বন্ধু পরিচয়ে জমি লিজ নিয়ে লিজের টাকাও দিতেন না সাজ্জাদ। টাকা চাইলে হুমকি, মামলা দিয়ে হয়রানি করার ভয় দেখানো হয়। পরে তারা অনাবাদী জমির পাশে গিয়েও একই দাবিতে কিছু সময় অবস্থান করেন। 

ভুক্তভোগীরা জানান, অপরিকল্পিতভাবে মাছের খামার করার কারণে ২০০ একর জমি পানিতে তলীয়ে থাকায় ফসল হচ্ছে না। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রেখে খামার করায় সমস্যার কথা জানিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করকর আবেদন করা হয়। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে আবেদন করার পর তৎকালীন উপজেলা প্রশাসন পানি নিষ্কাশনে খাল খননের পদক্ষেপও নিলেও পরে থেমে যায়। পরে ২০১৯ সাল ও চলতি বছরের জানুয়ারিতে পানি নিষ্কাশনের পদক্ষেপ নিতে উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করে ভুক্তভোগীরা। গত ৩০ আগস্ট পুণরায় প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছে এলাকাবাসী।

সাবেক মন্ত্রীর ছেলের প্রভাব দেখানোর অভিযোগ অস্বীকার করে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য খাল খননের চেষ্টা করা হলেও স্থানীয়রা জমি না দেওয়ায় কাজ হয়নি। তার পরেও প্রজেক্টে একটি খননযন্ত্র রাখা হয়েছে, পানি ছাড়ার জায়গা দেখালে তারা ব্যবস্থা নেবেন।
 
উপজেলা কৃষি অফিসার তানিয়া রহমান জানান, এই বিষয়টি শুনেছি। একটি তদন্ত কমিটি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জুয়েল মাহমুদ বলেন, জলাবদ্ধতা সমস্যা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  মাছের খামার-পানি নিষ্কাশন বন্ধ   অনাবাদী ফসলি জমি-মানববন্ধন   ত্রিশাল   ময়মনসিংহ বিভাগ  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close