ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

নিউজ এইটিনের প্রতিবেদন
বাংলাদেশ সীমান্তে মৌমাছি দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে চায় ভারত
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৭:১৪ এএম  (ভিজিট : ৪৪৪)
বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রুখতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সবসময় টহলে থাকে সীমান্তরক্ষীরা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিনের দাবি, তা সত্ত্বেও অনেক সময় এগুলো ঠেকানো যায় না। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ায় বাংলাদেশসংলগ্ন সীমান্তে মৌমাছির কৃত্রিম চাক তৈরি করেছে ভারত।

সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ গতকাল সোমবার জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ১০ থেকে ১২ জওয়ান সীমান্তে জড়ো হন। সেখানে তারা মৌমাছির চাষ শিখছিলেন। ওই সময় মাথায় ও মুখমণ্ডলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরে ছিলেন তারা। 

পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪৬ কিলোমিটার সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফের ৩২ নম্বর ব্যাটালিয়ন। তারা এসব বাক্স ঝুলিয়ে রেখেছে। তারা মনে করছে, মৌমাছির ভয়ে কোনো বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বা দুই দেশের কোনো চোরাকারবারি কাঁটাতারের কাছে আসতে সাহস করবে না। বিএসএফের এক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছেন তারা। সেখানে অনুপ্রবেশ বা চোরাচালান প্রায় শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছে। ৩২ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট সুজিত কুমার বলেছেন, এক বছরেরও কম সময় আগে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে আমরা মৌমাছি পালন করা শুরু করি। এটি ছিল গ্রাম উন্নয়নে একটি সরকারি প্রকল্প। সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কী করা যায় সেই চিন্তা থেকে আমার মাথায় আসে মৌমাছি চাষের বাক্সগুলো কাঁটাতারের বেড়ায় রাখা যায়। আমরা প্রায়ই দেখি কাঁটাতার কেটে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটে। এ ছাড়া গরু চোরাচালানসহ অন্যান্য বিষয় ঘটে। আমরা খুবই অবাক হয়েছি যে সীমান্তে এসব বাক্স রাখার পর সেখানে অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারাও নিউজ এইটিনকে বলেছেন, মৌমাছির কারণে সীমান্তে অপরাধের ঘটনাও কমেছে। কাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা জ্যোতি মণ্ডল বলেন, মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করতে এবং স্থানীয়দের কাছে ছিনতাই করতে অনেক অপরাধী সীমান্ত বেড়ার আশপাশে অবস্থান করত এবং ঢুকে যেত। তারপর [কাজ শেষে] নিজেদের সীমানায় পালিয়ে যেত। সীমানা অতিক্রমের তৎপরতা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছোটখাটো অপরাধও হ্রাস পেয়েছে।

একটি ইউনিট এই উদ্যোগে সফলতা পাওয়ার পর অন্যান্য ইউনিটও একই রকম ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন বিএসএফের এক কর্মকর্তা। 

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close