ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

আশুলিয়ার ১৫ পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি
প্রকাশ: সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৭:৩৬ এএম  (ভিজিট : ১৮২)
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) গত শনিবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আশুলিয়ার পোশাক কারখানাগুলো খোলার কথা ছিল। তা সত্ত্বেও পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। রোববার সকাল ৯টা থেকে ১০টার দিকে আশুলিয়ার অন্তত ১৫ পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি দেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। শিল্প পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে আশুলিয়ার অন্য কারখানাগুলোতে যথাযথভাবে উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের নরসিংহপুর এলাকায় কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা কাজ না করে বেরিয়ে যান। তবে কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া কিংবা মহাসড়ক অবরোধের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান বলেন, শিল্পাঞ্চলের যেসব জায়গায় গন্ডগোল হওয়ার সম্ভাবনা আছে সেসব জায়গায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা মোতায়েন আছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে। পোশাক খাতকে অস্থিতিশীল করতে যারা উসকানি দিচ্ছে তাদের শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, সকালে শিল্পাঞ্চলের পরিবেশ পুরোপুরি স্বাভাবিক ছিল। বিভিন্ন কারণে ১৫টি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। দ্রুতই বন্ধ কারখানাগুলো উৎপাদনে ফিরবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে গাজীপুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করায় বেশিরভাগ তৈরি পোশাক কারখানায় চলছে উৎপাদন। কারখানা খোলা থাকায় সকাল থেকে দলে দলে কারখানায় আসেন শ্রমিকরা। কারখানা এলাকার নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন ছাড়াও রয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিক জানান, খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে। সেই তুলনায় মজুরি তত বাড়েনি। একার পক্ষে চাকরি করে সংসার চালানো কঠিন। স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে কাজ করলে সংসার চালানো সহজ। কিন্তু বেশিরভাগ কারখানাগুলোতে নারী শ্রমিককে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে পুরুষ শ্রমিককে বেকার থাকতে হচ্ছে। এ কারণে পুরুষ শ্রমিকরা চাকরি চেয়ে কারখানার ফটকে বিক্ষোভ করলে ভেতরে থাকা নারী-পুরুষ শ্রমিকরা সমর্থন দিচ্ছে।

আবার অনেকে বলছেন, নিটিং কারখানায় পুরুষ শ্রমিক বেশি কাজ করত। আর এখন জ্যাকার্ড মেশিন ঢুকে পড়ায় কম শ্রমিকে বেশি কাজ করা হচ্ছে। ফলে পুরুষ শ্রমিকের সংখ্যা কমে গেছে। শিল্প মালিক ও শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, টানা কয়েক দিন শ্রমিক অসন্তোষ, বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ, কারখানা ভাঙচুরের ঘটনায় অশান্ত হয়ে পড়ে গাজীপুর শিল্পাঞ্চল। পরে বিজিএমইএর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ও সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার আশ^াস পেয়ে গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে বেশিরভাগ কারখানা খোলা রয়েছে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার সুবির কুমার সাহা বলেন, শ্রমিকদের সুনির্দিষ্ট কোনো দাবি নেই। একেক কারখানার শ্রমিকরা একেক ধরনের দাবি তোলায় শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। বিক্ষোভ ও আন্দোলনের সুযোগে কারখানা ভাঙচুর ও লুটের চেষ্টাও হয়েছে। গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২-এর পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম বলেন, গাজীপুরে বেশিরভাগ কারখানা খোলা রয়েছে। সহিংসতা ও ভাঙচুর ঠেকাতে কারখানা এলাকায় অতিরিক্ত শিল্প পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা পুলিশ, মহানগর পুলিশ কাজ করছে। বিজিবি ও সেনাবাহিনী টহল জোরদার করা হয়েছে।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close