ই-পেপার সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
ই-পেপার

সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

সর্বত্র সংস্কারের হাওয়া
অন্তর্বর্তী সরকারের ১ মাস
সরকারের ভুল ধরিয়ে দিতে গণমাধ্যমকে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রকাশ: রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৭:০১ এএম  (ভিজিট : ৬৫৮)
বিশ্বব্যাংকের সাবেক অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু বলেছেন, যে কারোর কল্পনার চেয়ে দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সংকট, তরুণদের বেকারত্ব বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতির মধ্যে বিতর্কিত চাকরির কোটা ব্যবস্থা বিদ্রোহের কারণ হয়ে ওঠে। যদিও বিক্ষোভের কারণ হিসেবে এটি ছাইচাপা আগুনে সামান্য বাতাসের মতো ছিল। তবে গুরুতর কারণ ছিল হাসিনার ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদ।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফসল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ সেই সরকারের এক মাস পূর্ণ হতে যাচ্ছে। এক মাস পূর্ণ হওয়ার আগে অর্থাৎ গত বুধবার ৯২ জন নোবেল বিজয়ীসহ ১৯৮ জন বিশ্বনেতা সমর্থন জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে।

এ কথা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ২০২৪ সালে আবারও যেন একটা সুযোগ তৈরি হলো। এবারের আন্দোলনের মতো লক্ষ্য অর্জনে এত প্রাণ মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া আর দিতে হয়নি। যে কারণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ৫ আগস্ট এক মাস পূর্তি উপলক্ষে এক বার্তায় বলেছেন, সেই বেদনা ও দায় অন্তরে ধারণ করে সবারই ভাবতে হবে-এবারের শহিদের রক্তের ঋণ শোধ করাটা জাতীয় দায়িত্ব। জাতির পক্ষে এই দায় অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর বিশেষভাবে বর্তায়।

আজ থেকে এক মাস আগে গত ৮ আগস্ট রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের কাছে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে ওই রাতে শপথ নেন আরও ১৫ জন উপদেষ্টা। সেদিন দুজন উপদেষ্টা অনুপস্থিত থাকলেও পরে তারা শপথ নেন। সেই রাতেই মন্ত্রণালয় বণ্টন হয়। উপদেষ্টাদের মধ্যে দুজন একেবারে টগবগে তরুণ। কেড়েছেন সবার দৃষ্টি। তারা দুজনই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।

এরপর সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা শুরু। সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে তারা একেবারে নতুন হলেও প্রথম দিন থেকে তার কোনো চিহ্ন চোখে-মুখে পড়েনি। বুকে দুরন্ত সাহস নিয়ে পথ চলতে গিয়ে যেন কিছুটা হোঁচট খাওয়ার মতো পরিস্থিতি সামলে এলেন সবাই। প্রধান উপদেষ্টা রংপুরের শহিদ আবু সাইদের কবর জিয়ারত করে অনেকটা নতুন করে শপথ নেন। দৃঢ়চেতা কণ্ঠে বলেন, শহিদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না।

এর মধ্যেই দাবির পর দাবি নিয়ে রাজপথমুখর। এই দাবিগুলো যেন সবার বুকের মধ্যে এতদিন পাথরচাপা হয়ে ছিল। স্বাধীনতার নতুন স্বাদ পেয়ে সবাই নিজেদের ন্যায্য দাবির জন্য আওয়াজ তুলল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও এ ব্যাপারে উদাস না থেকে নজর দিল। প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয় থেকে শুরু করে ঢাকা শহরের সব সরকারি অফিস-আদালতে একই প্রতিধ্বনি। সরকার দ্রুতলয়ে কাজ এগিয়ে নিল। একের পর এক গুরুত্বর্পূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল। তবে প্রধান উপদেষ্টা অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন জাতিকে। আর তা হলো, আমাদের প্রথম কাজ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। সেই সঙ্গে তিনি শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বাণীতে বলেছেন, জুলাই-আগস্ট মাসে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্তদের বিচারের জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানের ট্রাইব্যুনাল তৈরি এবং খুনিদের প্রত্যার্পণের কাজটি সম্পন্ন করতে চান।

প্রধান উপদেষ্টা তার সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কে জাতিকে জানানোর জন্য এক ভাষণ দেন। যার মধ্য দিয়ে জাতি এক নতুন আলোর পথ খুঁজে পায়। তিনি বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতি দেন, যা নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য পাথেয়।

এক মাস সময়টা খুবই অল্প। এরপরেও তিনি ও তার উপদেষ্টারা দিনরাত পরিশ্রম করছেন। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রথমেই ১৫ আগস্টের সরকারি ছুটি বাতিল করা হলো। সচিব থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন পদে বসানো হলো ভিন্ন মাত্রার কর্মকর্তা। এরই মধ্যে পদত্যাগের হিড়িক পড়ে গেল। প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল সুচিন্তিত আর পরিচ্ছন্ন। প্রশাসনে শীর্ষ পদ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপদের কর্মকর্তাদের পদত্যাগে বাধ্য করলেন। কোনো সরকারের সময় পুলিশের আইজিপি আটক হয়নি। এবারে দুই আইজিপিকে আটকের সঙ্গে মামলা দেওয়া হলো। আবার অনেককে বাধ্যতামূলক অবসর, আবার কাউকে ওএসডি করা হলো। সর্বত্র যেন পালাবদলের হাওয়া।

প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও কূটনীতিকদের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে বৈঠক করলেন। সবার কথা যেমন শুনলেন, তেমনি তার সংস্কারের বার্তা খবরটিও পৌঁছে দেন সবার কাছে। সংস্কার সর্বত্র হবে। আর সেই পদক্ষেপে ব্যাংক সংস্কার থেকে শুরু করে পাচার করা টাকা ফেরত আনতে টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে আওয়ামী লীগের প্রায় অর্ধশত মন্ত্রী-সংসদ সদস্য নিয়ে দুদক ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা অব্যাহত রয়েছে। তিনি সম্পাদকদের বৈঠকে স্পষ্ট করে তার সরকারের ভুল ধরিয়ে দিতে গণমাধ্যমকে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইতিমধ্যে ভারতের পিটিআইসহ আরও বিদেশি সংস্থার সঙ্গে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে স্পষ্ট করেছেন, শেখ হাসিনাকে দেশের মাটিতে এনে সবার সামনে বিচার করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকার গত ১৫ বছরের সব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে।

প্রধান উপদেষ্টা এই এক মাসের মধ্যে সব সচিবদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। তিনি তার বার্তা দিয়েছেন-সর্বত্র সংস্কার করতে হবে। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলে অন্তর্বর্তী সরকার পিছপা হয়নি। যে কারণে এক দিনে রাষ্ট্রদূতসহ ২৪ কর্মকর্তার চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। আবার সর্বত্র পদত্যাগের হিড়িকও ছিল এই এক মাসে। তবে কেউ পদত্যাগ করলেও দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। জাতীয় সংসদের স্পিকার থেকে শুরু করে আউয়াল কমিশনের সব কমিশনার পদত্যাগ করেছেন।

স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের অপসারণ করে তাদের জায়গায় বসানো হয়েছে প্রশাসক। সারা দেশের ৬৩৯টি থানার মধ্যে অন্তত ৪৫০টি থানা আক্রান্ত হয়েছিল। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন বেশ কয়েক দফা বৈঠকের পর পুলিশের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেন। গত ১৫ আগস্ট ছিল শেষ সময়। তারা ১১ আগস্ট কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে। কিন্তু এখনও অনেক স্থানে পুলিশের তেমন কর্মতৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে পুলিশ ফাঁড়িগুলোয় জনবল খুবই কম।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম-অপসংস্কৃতি চালু হয়েছিল। দ্বিতীয়বারের মতো দেশ স্বাধীন হওয়ার সুবাদে আয়নাঘর থেকে মুক্তি পান সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহহিল আমান আযমী। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি রাজনৈতিক দল ইউপিডি এক সংগঠক মাইকেল চাকমা মুক্তি পান। আরও মুক্তি পান মীর কাশেমের ছেলে আহমেদ বিন কাশেম আরমান। এই এক মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করেছে।

চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে গত ২৫ আগস্ট সারা দিন সচিবালয় অবরোধ করে ১০ হাজার আনসার সদস্য। অবরোধ ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া ৩৫০ আনসার গ্রেফতার হন। এরপর থেকে সচিবালয় থেকে শুরু করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন, বিচারপতিদের বাসভবনের সামনে সভা-সমাবেশ না করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। অন্তর্বর্তী সরকার এক মাসের মধ্যে কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল তা এই ঘটনার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে যায়।

এই এক মাসের মধ্যে যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের পদত্যাগের হিড়িক পড়ে। আবার পাশাপাশি নিয়োগ দেওয়া হয় ভেবেচিন্তে ভালো শিক্ষকদের। কোনো কাজে এই সরকার পিছিয়ে থাকেনি। প্রতিদিন চলছে বিভিন্ন নিয়োগ প্রক্রিয়া। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর থেকে শুরু করে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ হয়েছে এই এক মাসে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর যোগদানের পর থেকেই তার কার্যক্রম সুচারুভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন। কালো টাকা সাদা করার বিধান বাতিল করা হয়েছে এই এক মাসের মধ্যেই। ব্যাংক খাতের যে সংকট তা সমাধানের জন্য কাজ শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে অনেক ব্যাংক এস আলমের গ্রুপ থেকে মুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে সমস্যা জর্জরিত ব্যাংকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে।
কোথায় কোথায় দুনীতি হয়েছে তা খুঁজে বের করার জন্য সরকার সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে আহ্বায়ক করে শে^তপত্র তৈরির একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা এই এক মাসের মধ্যে দুটি বৈঠক করেছে বলে জানা গেছে।

অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের এক দুর্নীতির মামলায় কয়েক বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। অন্তর্বর্তী সরকার তাকে এই মামলা থেকে খালাস দেন। মুক্ত খালেদা জিয়া সাত বছর পর ব্রিটিশ হাইকমিশনের সঙ্গে বৈঠক করার সুযোগ পান। সুইডেন আসলাম দীর্ঘদিন পর জামিন পেলেন। এই এক মাসের মধ্যে নিবন্ধন পেল তিনটি রাজনৈতিক দল। এই এক মাসের মধ্যে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারের জন্য ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এক মাসের মধ্যে নির্ধারিত সময়ে অবৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই পরিমাণ অস্ত্র জমা পড়েনি। এখানেই বুঝি হোঁচট খেল অন্তর্বর্তী সরকার। আবার আগস্টের ১১টি জেলায় ভয়াবহ বন্যা অন্তর্বর্তী সরকারকে কিছুটা বিপাকে ফেলে দেয়। তবে এই বন্যায় সর্বস্তরের সাহায্য-সহায়তা চাহিদার তুলনায় বেশিই ছিল বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তবে আক্রান্ত হওয়া অর্ধকোটি মানুষের এখনও ভোগান্তি শেষ হয়নি।

অন্তর্বর্তী সরকার অল্প সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি সাফল্য অর্জন করেছে। এর মধ্যে সরকারি কর্মচারীরদের হিসাব দেওয়া বাধ্যতামূলক করা, মেট্রোরেল নতুনভাবে আবার চালু করা, ডলারের অস্থিরতা দূর করা, বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে টেস্ট জয়ীদের অভিনন্দন দেওয়ার সুযোগ, হাসপাতালে চিকিৎসকদের শার্টডাউন থেকে মুক্ত করা, গার্মেন্টস শিল্পে অস্থিরতা দূর করা, বেশ কয়েকটি পণ্যের শুল্ক কমানো, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের আংশিক তালিকা তৈরি করা।
আন্দোলনে ৮১৯ জন নিহত হলেও ৬৩০ জনের নাম জানা গেছে। এখনও ১৮৯ জনের নাম পাওয়া যায়নি। নিহত ও আহতদের দায়িত্ব এই অন্তর্বর্তী সরকার বহন করবে বলে জানা গেছে। আহত হয়েছে প্রায় ২০ হাজার। তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে এই সরকার। রংপুরের আবু সাইদের ভিটায় যেদিন প্রধান উপদেষ্টা গিয়েছিলেন, তখনই তিনি এ কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন।

এক মাসে অন্তর্বর্তী সরকারে আরও ৫ জন উপদেষ্টা নিয়োগ পেয়েছেন। তারা সবাই দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। পরিবেশ নিয়ে সরকার এই এক মাসের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তা হলো সব সরকারি অফিসে প্লাস্টিকের পরিবর্তে কাগজের ফাইল, কাচের জগ ও গ্লাস ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এক মাস সময় বেশি সময় নয়। এরপরও এক মাস করে করে আগামী ১০০ দিনের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যা শিগগির দৃশ্যমান হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ধীরে ধীরে সব কাজের ধরন দৃশ্যমান হবে। এক মাস তো বেশি সময় নয়। এরপরও চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close