ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

গাজীপুরে কলেজছাত্র হত্যা মামলায় কনস্টেবল গ্রেফতার
প্রকাশ: শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:১৪ পিএম  (ভিজিট : ১৮৬)
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকায় পুলিশের প্রকাশ্য গুলিতে কলেজছাত্র মো. হৃদয় হত্যার ঘটনায় আকরাম হোসেন নামে এক কনস্টেবলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার বরুরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
 
কোনাবাড়ি থানার ওসি মো. শাহ আলম জানান, কনস্টেবল আকরামকে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। 

গ্রেফতার আকরাম ওই এলাকার শওকত হোসেনের ছেলে। তিনি গাজীপুর শিল্প পুলিশে কর্মরত ছিলো। ভিডিও দেখে কনস্টেবল আকরাম হোসেনকে সনাক্ত করা হয়েছে। কোনাবাড়ি থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় গত ৫ আগস্ট বিকেলে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি থানা এলাকায় পুলিশ সদস্যরা হৃদয়কে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে। 

নিহত মো. হৃদয় টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার উত্তর আলমনগর এলাকার মো. লাল মিয়ার ছেলে। টাঙ্গাইলের হেমনগর ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে লেখাপড়ার পাশাপাশি গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি পারিজাত এলাকায় ফুফাতো ভাই মো. ইব্রাহিমের সঙ্গে থাকতেন হৃদয়। কোনাবাড়ি-কাশিমপুর সড়কে তারা দু’জনই অটোরিকশা চালাতেন। আন্দোলন চলার সময় একটি দোকান ঘরে আশ্রয় নেওয়া হৃদয়কে ধরে নিয়ে প্রকাশ্যে গুলি করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত হৃদয়ের ফুফাতো ভাই ইব্রাহিম বাদী হয়ে কোনাবাড়ি থানায় গত ২৭ আগস্ট একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হককে।

এছাড়া উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান, সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ ৫৭ জন। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে।

মামলার বাদী এজাহারে বলেছেন, আমি এবং আমার মামাতো ভাই দুজনই গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর কোনাবাড়ি রোডে অটো রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতাম। আমিসহ আমার মামাতো ভাই মো. হৃদয় গত ৫ আগস্ট নগর এঞ্জেল গেইট সংলগ্ন রাস্তার ওপর অবস্থান করছিলাম। ওই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র জনতা কোনাবাড়ি থেকে কাশিমপুর রোডে অবস্থান করিয়া সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দেয়। ওই সময় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান ও সাবেক সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশে অজ্ঞাতনামা ২৫০-৩০০ জন সন্ত্রাসীরা ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। 

এসময় আমার মামাতো ভাই মো. হৃদয় প্রাণ ভয়ে পাশের একটি দোকানে আশ্রয় নেয়। এর কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ সদস্যরা হৃদয়কে দোকান থেকে জোরপূর্বক টানা হেঁচড়া করে রাস্তার ওপরে নিয়ে যায়। পরে তাকে পুলিশ সদস্যরা ঘেরাও করে আগ্নেয়াস্ত্র পেটের মধ্যে ঠেকিয়ে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ গুম করে। যা আমি ও আমার আশপাশের লোকজন ভিডিও ধারণ করি। পরবর্তী সময় সেই ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  ছাত্র আন্দোলন-কলেজছাত্র হত্যা   কনস্টেবল গ্রেফতার   গাজীপুর-ঢাকা বিভাগ  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close