প্রকাশ: শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৭:০৮ পিএম (ভিজিট : ২৮০)
নরসিংদীর পলাশে ১৪ দফা দাবিতে গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে বিক্ষুব্ধ একাংশ শ্রমিকদের হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের পর জনতা জুটমিল লি: অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে মিল কর্তৃপক্ষ। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মিলের প্রধান ফটকে বন্ধ ঘোষণার নোটিশ টানিয়ে শ্রমিকদের তা জানানো হয়।
জানা গেছে, মিলটিতে ৭ হাজার শ্রমিক কর্মরত ছিল। পুনরায় চালু করার সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা না করে বন্ধ ঘোষণায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বন্ধ ঘোষণার পরে মিলটির কলোনি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন বসবাসরত হাজারো শ্রমিক।
জনতা জুট মিলস লি: এর পক্ষে জেনারেল ম্যানেজার মো. মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, জনতা জুট মিলস লি: এ গত ৩ সেপ্টেম্বর হতে ৬ সেপ্টেম্বর মধ্যবর্তী বিভিন্ন সময়ে কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতকারী প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, বেআইনি ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং ভাঙচুরে লিপ্ত ছিল। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পরায় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১২ (১) অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের সকল উৎপাদন কার্যক্রম আজ ৭ সেপ্টেম্বর এ শিফট হতে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মিল বন্ধ কালীন সময়ের দীর্ঘ সূত্রতার প্রেক্ষিতে শ্রম আইন এবং শ্রম বিধিমালা মোতাবেক উপযুক্ত শ্রমিকগন ধারা ১২(৬), ১২(৭) বা ১২(৮) অনুসারে মজুরি প্রাপ্য হবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল শ্রমিককে জনতা জুট মিলস লি: এর কর্মক্ষেত্রে যোগদান থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে পলাশের বাগপাড়া গ্রামে অবস্থিত আকিজ-বশির গ্রুপের মালিকানাধীন জনতা জুটমিলস লিমিটেড এ ১৪ দফা দাবিতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে মিলের বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। হামলায় মিলের প্রশাসনিক ভবন, লেবার অফিস, নিরাপত্তা অফিস, গেস্ট হাউজসহ বিভিন্ন অফিস কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এসময় বাধা দিতে গিয়ে মিলের ৬ নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়। খবর পেয়ে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে মিলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এ ব্যাপারে মিলের জেনারেল ম্যানেজার মো. মতিউর রহমান জানান, কবে নাগাদ মিলের উৎপাদন চালু হবে তা পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিবে মিল কর্তৃপক্ষ।
সময়ের আলো/আরআই