চট্টগ্রামের পটিয়ায় মারধর করে ৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় যুবদল নেতা মামুনর রশিদ মামুনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) যুবদলের দফতর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে কক্সবাজার এলাকার ভুক্তভোগী স্বর্ণ ব্যবসায়ী রুবেল কান্তি দাশ বাদী হয়ে পটিয়া থানায় মামুনসহ দুইজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামুন পটিয়া পৌর যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি ছিলেন। তাঁর বাড়ি পটিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাগজী পাড়া এলাকায়।
পটিয়া থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী রুবেল দাশের রিদি গোল্ড ফ্যাশন নামের একটি স্বর্ণের দোকান রয়েছে। তাদের দোকানের কারিগর রূপন দাশ গত ২৭ জুলাই ২১ ক্যারেটের ৬৫ ভরি স্বর্ণ নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে যাচ্ছিলেন। এ সময় একটি মোটরসাইকেল ও একটি মাইক্রোবাস পূরবী বাসের গতিরোধ করে ছাত্রলীগের কর্মী আখ্যায়িত করে রূপন দাশকে মারধর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে ফেলেন। এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা গলায় ছুরি ধরে ৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে তাদের শনাক্ত করা হয়।
এ ঘটনায় গত ৫ সেপ্টেম্বর ৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই, "পটিয়ায় যুবদল নেতাসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা শীর্ষক" একটি সংবাদ দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকায় প্রকাশিত হলে বিএনপির নেতাকর্মীরা নড়ে বসেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার আওতায় পটিয়া পৌরসভা শাখার যুগ্ম- আহ্বায়ক মামুনর রশিদ মামুনকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের অপকর্মের কোন দায়-দায়িত্ব দল নিবেনা এবং যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরকে তাদের সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি বদরুল খায়ের চৌধুরী জানিয়েছেন, দলের নাম ব্যবহার করে যারা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, চুরি, ছিনতাই ও মানুষের উপর জুলুম করবে তাদের স্থান বিএনপিতে নেই। ইতোমধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট ভাষায় তা জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরও জানান, যারা অপকর্মে লিপ্ত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে।
সময়ের আলো/এএ/