ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

লক্ষ্মীপুরে বন্যা
দুর্ভোগেই বানভাসিরা
পানিবন্দি অন্তত ৫ লাখ মানুষ
প্রকাশ: শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:১৯ এএম  (ভিজিট : ১৪৪)
লক্ষ্মীপুরে কমছে বন্যার পানি। এলাকাভেদে গত তিন দিনে এক থেকে দেড় ফুট পানি কমায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে বানভাসিদের মধ্যে। 

তবে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার অধিকাংশ সড়কের পানি নেমে গেলেও এখনও কিছু কিছু সড়কে রয়েছে হাঁটু পরিমাণ পানি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা। এখনও পানিবন্দি রয়েছেন জেলার অনন্ত ৫ লাখ মানুষ। বন্যাকবলিত এলাকার বাসিন্দার দুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। পানি নামতে শুরু করায় অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরেছেন নিজ বসতঘরে। তবে সুপেয় পানি ও পয়োনিষ্কাশনসহ রান্নাবান্না নিয়ে রয়েছেন বিপাকে। গত ২০ দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থা থাকায় পানিবাহিত রোগবালাই দেখা দিয়েছে দুর্গত এলাকাগুলোতে। এ ছাড়া সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এখনও কিছু কিছু এলাকায় হাঁটু পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে বন্যাকবলিতদের। বন্যাদুর্গত বিভিন্ন এলাকায় এখন দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়।

এদিকে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের মধ্যবাঞ্ছানগর এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, একশ্রেণির প্রভাবশালী খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করায় পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে ঠিকমতো নামতে পারছে না উজান থেকে নেমে আসা পানি। গত ২০ দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের। এ ছাড়া দীর্ঘ দিন পানিবন্দি থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলি জমি, মারা গেছে হাঁস-মুরগিসহ অন্যান্য গবাদিপশু। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।

এদিকে বানভাসিদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৪১৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

এ ছাড়া বন্যায় কৃষি, মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদ খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর হিসাব মতে, এখন পর্যন্ত কৃষি খাতে ক্ষতি ২২৭ কোটি টাকা। প্রাণিসম্পদ খাতে ৮ কোটি ৬৫ লাখ এবং মৎস্য খাতে ২৪০ কোটি টাকা। এতে পথে বসার উপক্রম হয়েছে কৃষক, মাছচাষি ও পশু-পোলট্রি খামারিদের। এমন বাস্তবতায় সরকারি সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত বানভাসিরা।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ জামান খান জানান, রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় এলাকাভেদে প্রায় আড়াই থেকে তিন ফুট পানি কমেছে। তবে জায়গায় জায়গায় বাধাগ্রস্ত হওয়ায় সদর উপজেলার পানি সেভাবে নামতে পারছে না। পানি যাতে নির্বিঘ্নে নেমে যেতে পারে সে জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ অপসারণের কাজ শুরু করেছেন তারা।


সময়ের আলো/আরএস/ 
 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close