প্রকাশ: শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৯:৪০ পিএম (ভিজিট : ৫০৮)
নওগাঁর খুচরা বাজার ঘুরে জানা যায়, স্বর্না-৫ মোটা জাতের চাল এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৭ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। কাটারি জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকায়, জিরা জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২-৬৪ টাকায় যা আগে বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়, এবং ৪৯ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকায় যা আগে বিক্রি হয়েছে ৫৪ টাকায়।
প্রতি বছর এই সময়ে ধান এবং চালের বাজার উর্ধ্বগতি হয়। মৌসুমে ধান কাটা-মাড়াই অনেক আগেই শেষ হয়েছে। বড় জোতদার কৃষকদের ঘরে কিছু ধান রয়েছে। হাট-বাজারে ধানের সরবরাহ কম হওয়ায় প্রতি মণ ধানে বেড়েছে ১০০ টাকা। স্বর্ণা-৫ জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে মনে ১ হাজার ৩৬০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩৮০ টাকা। ধানের দাম বাড়ার অজুহাতে এর প্রভাব পড়েছে চালের বাজারেও। পাইকারি মোকামে প্রকারভেদে প্রতি বস্তায় (৫০ কেজি) দাম বেড়েছে ১০০-১৫০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতিকেজিতে ২-৩ টাকা বেড়ে স্বর্ণা-৫ চাল ৪৮-৫০ টাকা কেজি, জিরাশাইল ৬২-৬৪ টাকা এবং কাটারিভোগ ৬৬-৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে খুচরা বাজারে চালের দাম বাড়ার কথা স্বীকার করে নওগাঁ পৌর খুচরা বাজারের সাধারণ সম্পাদক উত্তম সরকার বলেন, পাইকারিতে চালের দাম বাড়লেও খুচরা বাজারে এখনো চালের দাম বাড়েনি। আমরা আগের দামেই চাল বিক্রি করছি। আমাদের কাছে যেসব চাল আছে তা অবিক্রিত। এসব চাল বিক্রি হলে পাইকারি মোকাম থেকে চাল কেনা হবে। সেসব চাল বাজারে আসলে কিছুটা দাম বাড়বে।
নওগাঁ চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, বর্তমানে কৃষকের ঘরে ধান নেই, ফলে হাটগুলোতে ধানের চাহিদার তুলনায় আমদানি কম। ফলে একটি মিল চালাতে যে পরিমাণ ধানের প্রয়োজন সেটি পাচ্ছে না মিলাররা।
অন্যদিকে পরিবহন শ্রমিক এবং বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাবে বেড়েছে উৎপাদন খরচ। সব মিলিয়ে প্রভাব পড়েছে ধান-চালের দামে। প্রতি বছর এ মৌসুমে ধান-চালের দাম কিছুটা বাড়ে।
তিনি আরও বলেন, ধানের দাম মনে ১০০ টাকা বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। প্রতি বস্তায় ১০০-১৫০ টাকা বেড়েছে। যেহেতু বর্তমানে ইরি-বোরো ধান রোপন চলমান রয়েছে। কিছু ধান ব্রুডিং অবস্থায় এবং কিছু ধান পাকার অপেক্ষায় রয়েছে। ধান কাটা-মাড়াই শুরু হতে প্রায় দেড় মাস। নতুন ধান বাজারে আসলে চালের দাম স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি।
সময়ের আলো/জিকে