ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

যৌথ বাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্রগুলো উদ্ধারের দাবি
হামলা ও গুলির ঘটনার একমাস হলেও হয়নি মামলা, আটক হয়নি কেউ
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৩:৩৭ পিএম  (ভিজিট : ২১০)
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বিএনপির বিজয় মিছিলে প্রতিপক্ষের হামলায় ৪ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় ১৪ জন। ঘটনার একমাস পার হলেও এখনো হয়নি মামলা, উদ্ধার হয়নি কোন অস্ত্র।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৬ আগস্ট সকালে যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ও মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিজয় মিছিল বের করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। মিছিলে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৫ সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। গজারিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি রসুলপুর খেয়াঘাট হয়ে রসুলপুর বাজার এলাকায় আসলে হেলমেট পড়া এক দল দুর্বৃত্ত মিছিল কারীদের ওপর হামলা চালায়। প্রথমে তারা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে। পরে প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় চার বিএনপি নেতাকর্মী। 

গুলিবিদ্ধ চার বিএনপি নেতা হলেন- আবুল হাসান (৩২) শরিফুল (৪৫), আলিনুর (৪৫), সাবেক ইউপি সদস্য মহসিন মেম্বার (৪০)। আহত হন ভবেরচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক শফিকুর রহমান শিকদারসহ আরও ১০ জন। 

জানা গেছে, হামলাকারীরা সবাই মুন্সীগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়াজী মোহনের ও গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহর সমর্থক। আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।

বিষয়টি সম্পর্কে গুলিবিদ্ধ শরিফুল ইসলাম বলেন, বিএনপির বিজয় মিছিলটি উপজেলা প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে রসুলপুর খেয়াঘাট তারপর রসুলপুর বাজার অতিক্রম করে মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের বাড়ির সামনে আসলে সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। অতর্কিত হামলায় আতঙ্কিত হয়ে আমরা বিভিন্ন দিকে ছোটাছুটি শুরু করি। হামলাকারী বেশ কয়েকজনের হাতে পিস্তল ছিল। তারা বিজয় মিছিল অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ করতে থাকে। হামলাকারী কয়েকজন আবার মিছিল আগতদের মারধর করে তাদের সাথে থাকা মোবাইল ফোন এবং টাকা পয়সা কেড়ে নেয়।

হামলায় আহত বিএনপি কর্মী মোসলে উদ্দিন বলেন, হামলাকারীদের মধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগের চিহ্নিত কয়েকজন সন্ত্রাসী এবং মাদককারবারি ছিলো। হামলাকারীরা আমাদের মারধর করে সাথে থাকা নগদ টাকা এবং বেশ কয়েকটি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তাদের কয়েকজন ক্যাডারের হাতে ছিল পিস্তল, কয়েকজনের হাতে ছিল রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র। যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা প্রয়োজন।

এদিকে হামলাকারী সশস্ত্র ক্যাডাররা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করায় সাধারণ মানুষের মানুষের মাঝে চাপা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এ ঘটনায় গজারিয়া থানায় পৃথক একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনো মামলা হয়নি। 

একটি অভিযোগের বাদী মোরসালিন বলেন, এ ঘটনায় আমার ছোটভাই আবুল হাসান গুলিবিদ্ধ হয় এবং মোটরসাইকেলটি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আমি এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ঘটনার প্রায় এক মাস হয়ে গেল কিন্তু এখনো পর্যন্ত মামলা রেকর্ড হয়নি। বিষয়টি যেখানে পানির মত পরিষ্কার সেখানে পুলিশ কেন সন্ত্রাসীদের আটক করছে না বা মামলা রেকর্ড করছে না তা আমার জানা নাই। নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় অবৈধ অস্ত্রগুলো উদ্ধার করার প্রয়োজন। শুনেছি হামলাকারী মুন্সীগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ইদ্রিস মিয়াজী মোহন ও জেলা বিএনপির সিনিয়র এক নেতার চাপের কারণে পুলিশ মামলাটি নিচ্ছে না।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এটিএম আক্তারুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় তিনটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মাঝখানে আমাদের থানা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আমাদের তদন্ত কার্যক্রম শেষ করতে কিছুটা সময় লাগছে। তদন্ত করে ঘটনা সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই মামলা হবে।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  ছাত্র আন্দোলন-বিজয় মিছিল   হামলা-গুলি-মামলা   আটক   গজারিয়া থানা  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close