ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

এমপি হয়েই সম্পদের পাহাড় গড়েন নজরুল
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:০৮ এএম  (ভিজিট : ২৫৬)
২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে পরপর তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নজরুল ইসলাম চৌধুরী। চট্টগ্রাম-১৪ আসনে টানা তিনবার আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত এ সংসদ সদস্যকে গত ১ মার্চ তৎকালীন স্বৈরাচার সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করেন নজরুল ইসলাম চৌধুরী। নির্বাচনে বিপুল ভোটে পরাজিত হওয়ায় ১৯৯৬-২০১৪ সাল পর্যন্ত দলীয় কোনো কর্মকাণ্ডে জোরালো ভূমিকায় তেমন দেখা যায়নি তাকে। ২০০১ ও ২০০৮ সালে পরপর দুবার ইঞ্জিনিয়ার আফসার উদ্দীন আহমদ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করেন। হেভিওয়েট প্রার্থী বিএনপির কর্নেল (অব.) অলি আহমদের বিপরীতে নির্বাচন করে হেরে যান ইঞ্জিনিয়ার আফসার। তবে সেই সময় অনেক আওয়ামী লীগ নেতাই তার (ইঞ্জি. আফসার) বিরোধিতা করেন।

২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নজরুল ইসলাম চৌধুরী। নির্বাচিত হওয়ার পরে দিন দিন বেড়েছে তার সম্পদের পরিমাণ। নগদ অর্থ, স্থাবর অস্থাবর সম্পদ সবকিছুই বেড়েছে। নির্বাচনি হলফানামায় দেখা গেছে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তার হাতে নগদ ছিল সাড়ে ৪ হাজার টাকা। তবে ২০১৮ সালে এসে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ পাঁচ বছরের ব্যবধানে তার নগদ টাকা বেড়েছে ৫২৭ গুণ, এই সময়ে তিনি হয়েছেন ৫০ লাখ টাকা দামের গাড়ির মালিকও। কেবল নগদ টাকা নয়, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি দুটোই বেড়েছে এই সংসদ সদস্যের।

২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে দেওয়া হলফনামার তথ্য অনুযায়ী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর অস্থাবর সম্পত্তির আর্থিক মূল্য ছিল ৫৪ লাখ ৯ হাজার টাকা (নগদ সাড়ে ৪ হাজার টাকাসহ)। বন্ড, ঋণপত্র, তালিকাভুক্ত বা তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানিতে বিনিয়োগ ছিল ৫১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। স্বর্ণ ও অলংকার ছিল ২৫ হাজার টাকার। ২০১৮ সালে এসে তার অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ২৪ লাখ টাকায়। যার মধ্যে নগদ হচ্ছে ২৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।

নজরুল ইসলাম চৌধুরীর ব্যবসায় মূলধন ও বীমার পরিমাণ ২০১৪ সালে ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ লাখ ২৩ হাজার টাকায়। এ খাতে ২০১৪ সালে স্ত্রীর ৮০ হাজার টাকা থাকলেও পাঁচ বছরের মাথায় এসে তা দাঁড়ায় ২৮ লাখ ৩২ হাজার টাকায়। একইভাবে স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৯২ লাখ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪০ হাজার টাকার সমপরিমাণ। পাঁচ বছরে তিনি ৮২ লাখ টাকার দায়ও শোধ করেছেন। সংসদ সদস্য হওয়ার পর তিনি ১৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকা মূল্যের কৃষিজমির মালিক হয়েছেন।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে নজরুল ইসলাম চৌধুরী পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close