ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
অনুমতি ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে নদী খননের বালু
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৩:৪৫ এএম  (ভিজিট : ১৮৪)
সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলায় রাতের আঁধারে অবৈধভাবে ফুলজোড় নদী খুঁড়ে তোলা বালু বিক্রি কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ এ কাজে লিপ্ত রয়েছে একটি চক্র। একাধিকবার জরিমানা, মামলা ও অভিযুক্তরা আটক হলেও জামিনযোগ্য মামলা হওয়ায় জামিনে মুক্ত হয়ে ফের অবৈধভাবে রাতের আঁধারে ফুলজোড় নদীর বুক চিরে বালু তুলে দেদার বিক্রি করে চলেছে চক্রের সদস্যরা।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জাহান বলেন, কাটাখালী এলাকায় ফুলজোড় নদী খননের বালু অবৈধভাবে রাতের আঁধারে বিক্রি হচ্ছে এমন খবরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান চলাকালীন দুটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। ভদ্রঘাট ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তাকে নিয়মিত মামলা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জাহান আরও বলেন, একাধিকবার মামলা দিয়েও অবৈধভাবে বালু বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের থামানো যাচ্ছে না। জামিনযোগ্য মামলা হওয়ায় জামিনে বের হয়ে আবারও অবৈধভাবে বালু বিক্রি করে জড়িতরা। তবে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান এই সরকারি কর্মকর্তা।  

কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, ফুলজোড় নদী খননের বালু অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এই মামলায় ট্রাকচালক নিশান ও শিরনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুটি ড্রাম ট্রাক জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কামারখন্দ উপজেলার মুগবেলাই মৌজার কাটাখালী এলাকায় কৃষকদের আবাদি জমি লিজ নিয়ে ফুলজোড় নদী খননের বালু স্তূপ করে রাখা হচ্ছে। সেই স্তূপকৃত বালু রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বিক্রি করে দিচ্ছে চক্রটি। এমন খবরে সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত দুটি ড্রাম ট্রাক চালকসহ আটক করা হয়। পরে কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তারেক মোর্শেদ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এবারই প্রথম নয়, এর আগেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির অভিযোগে একাধিক মামলা করেছেন এই সরকারি কর্মকর্তা। 

সম্প্রতি থানায় করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার মুগবেলাই মৌজার কাটাখালী এলাকায় কৃষকের কাছ থেকে আবাদি জমি লিজ নিয়ে বলগেট ভর্তি বালু ড্রেজারের মাধ্যমে লিজ নেওয়া জমিতে স্তূপাকার করে রাখা হয়। পরে সেই বালু রাতের আঁধারে বিক্রি করে দেয় শাহজাদপুর উপজেলার বাসিন্দা ইউসুফসহ কামারখন্দ উপজেলার বাসিন্দা পরিমল, নজরুল, ঝন্টু, আবুল কালাম আজাদ, জাহাঙ্গীর, ট্রাকচালক নিশান ও শিরন। এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। অবৈধভাবে বালু বিক্রি করায় সরকারের প্রায় ১৫ লাখ টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়।

সময়ের আলো/জেডআই




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close