প্রকাশ: সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:৪২ পিএম (ভিজিট : ১৮৪)
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পদ্মা নদীতে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। এরমধ্যে পানির স্রোতে পল্লী বিদ্যুতের খাম্বা পড়ে ১০ দিন ধরে বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের দেড় হাজার পরিবার। উপজেলার বাবুপুর, সাত্তার মোড়, নিশিপাড়া, কদমতলা, সেতারাপাড়া শেয়ালপাড়া চরলক্ষ্মীপুরসহ ১০-১৫টি গ্রাম এখন বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন।
নিশিপাড়া চরের বাসিন্দা তোহিদুর রহমান বলেন, পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতে দুটি খাম্বা পড়ে যাওয়ায় তারা বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। স্বাভাবিক কাজ করতে পারছেন না।
কৃষক মতিউর রহমান বলেন, ১০ দিন ধরে অন্ধকারে বসবাস করছি। জমিতে পানি দিতেও সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যুৎ ছাড়া আমরা খুব কষ্টে জীবনযাপন করছি। ১০ দিন ধরে বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের মানুষ ইউসুফ আলী বলেন, ১০ দিন ধরেই অন্ধকারে। কানসাট পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না তারা। আবার যখন খাম্বা স্থাপন করতে এসেছিল তখন তাদের অন্যদিক দিয়ে দিতে বলেছিলাম। সেখান দিয়ে বিদ্যুতের খাম্বাগুলো দিলে ১০ বছরেও কিছু হতো না। তারা বলে নাকি যতবার খাম্বা পদ্মায় নামবে ততবার নতুন করে বরাদ্দ পাবে। কিন্তু বন্ধ থাকার কারণে আমরা যে কষ্টে থাকি সেটা তারা ভাবে না।
পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, ১০ দিন আগে পদ্মা নদীর তীর সাত্তার মোড়ের একটি খাম্বা নদীতে পড়ে যায়। ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানোর পরও মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এতে তীব্র গরমে মানবেতর জীবন-যাপন করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. ছানোয়ার হোসেন সময়ের আলোকে বলেন, আমিসহ একটি টেকনিকাল টিম সেখানে গিয়েছিলাম। এখন প্রচুর পরিমাণে পানির স্রোত। স্রোত না কমলে খাম্বাটি পুনঃস্থাপন করা যাচ্ছে না। তবে কবে নাগাদ ঠিক করা যাবে তার কোন নিদিষ্ট সময় জানাতে পারেনি এই কর্মকর্তা।
সময়ের আলো/আরআই