প্রকাশ: শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪, ৭:১৪ পিএম (ভিজিট : ৩০৮)
রাজশাহীর একটি ম্যাজিস্ট্রেট পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনও করা করেছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যেগুলো আমাদের সাথে হচ্ছে তা আমাদের হেয় করার জন্য করা হচ্ছে। এর সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নাই।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হারুন অর রশিদ। তিনি মোহনগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে কর্মরত সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবীরের বড়ভাই।
হারুন অর রশিদ বলেন, একটি প্রচারিত সংবাদে সদ্য প্রয়াত পিতা জাতির সূর্য সন্তান খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা ইনসান আলী মাস্টারকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। এতে আমরা গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছি। আমি মনে করি 'ভুয়া' শব্দটি উল্লেখ করে পুরো মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ছোট করা হয়েছে। জীবদ্দশায় সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তি ছিলেন আমার প্রয়াত বাবা। আমার বাবা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কিনা তা আমার কাছে থাকা মুক্তিযোদ্ধা সনদ, সরকারি গেজেট ও মুক্তিবার্তা দেখলেই জানতে পারবেন।
তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল ও পুকুর দখলের অভিযোগ আনা হয়েছে। বিষয়টিও পুরোটাই বানোয়াট। যেখানে পুকুর রয়েছে সেখানে বেশিরভাগ জমি আমাদের পৈতৃক সূত্রে পাওয়া। কিছু জমি ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করে লিজ নেয়া হয়েছে। লিজের টাকা প্রতি বছর পরিশোধ করা হয়ে থাকে।
বিদ্যালয়ে ৫ লাখ টাকা ডোনেশন দিয়ে চাকরি নিয়েছেন বলে যে ব্যক্তি দাবি করেছেন তিনিও অসত্য তথ্য উপস্থাপন করেছেন। প্রকৃত পক্ষে ওই ব্যক্তি নিজেই আত্মপক্ষ সমর্থন করে ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। সেখানে টাকা দেয়ার কথা তিনি উল্লেখ করেননি কিংবা টাকা দাবিও করেননি। এ বিষয়টিও মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
হারুন অর রশীদ বলেন, আমার স্ত্রীকে জড়িয়ে প্রচারিত সংবাদে বলা হয়েছে জোরপূর্বক মোহনগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়েছেন। বিষয়টি আদৌ সঠিক নয়। আমার স্ত্রী ওই বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় দীর্ঘদিন ওই পদটি শূন্য রয়েছে। সরকারি বিধি প্রতিপালন করে শিক্ষাবোর্ড থেকে প্রাপ্ত আদেশে আমার স্ত্রী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন, ছাত্রজনতার বিজয় অর্জনের পরে দুস্কৃতিকারীরা আমাদের নিজ বাড়িতে বেশ কয়েকবার হামলার চেষ্টা চালায়। এলাকার স্থানীয় লোকজন এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তারা যারবার ব্যর্থ হয়ে ভাড়াটে লোকজন নিয়ে তড়িঘড়ি মানববন্ধন করে সটকে পড়ে। আমরা প্রচারিত মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রযুত সংজ্ঞদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
সময়ের আলো/জিকে