ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

দৌলতপুর উপজেলা অবৈধ হাটের ছড়াছড়ি
প্রকাশ: শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৪, ৩:৩৮ পিএম  (ভিজিট : ২২৪)
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বসবাস করেন প্রায় ৮ লাখ মানুষ। এখানে খাদ্যপণ্য সরবারাহের জন্য পাইকারি হাটগুলোর পাশাপাশি সাধারণ ক্রেতাদের জন্য খুচরা হাট বসে প্রায় ২০০টি। সাপ্তাহিক হাট ছাড়াও সপ্তাহে ২-৩ দিন চলা এসব হাটের চার ভাগের তিন ভাগই বসে অবৈধ নিয়মে।

এ কারণে একদিকে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না বাজারমূল্য, নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না পণ্যের মানও। অন্যদিকে ইজারাবিহীন হাটগুলো থেকে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অভিযোগ রয়েছে, সরকারি ইজারা না থাকলেও এসব অবৈধ হাটে তোলা হয় নিয়মিত চাঁদা- যা ভাগবাটোয়ারা হয় হাট সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রভাবশালীদের মঝে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে একটি হাট সরকারি ইজারায় চললেও হাট রয়েছে অন্তত ১২টি। রিফায়েতপুর ইউনিয়নে সরকারি ইজারা হাট ছাড়াও সেখানে চলে আরো ৩-৪টি হাট। খলিসাকুণ্ডি ইউনিয়নে ইজারা ছাড়া কয়েকটি হাট বসলেও ওই ইউনিয়নে দুটি হাট রয়েছে সরকারি ইজারাভুক্ত।

আড়িয়া ইউনিয়নে কেবল বড়গাংদিয়া হাট ইজারায় চললেও আরো হাট বসে কমপক্ষে ৭-৮টি। অন্তত ১০টি হাট নিয়মিত বসলেও ফিলিপনগর ইউনিয়নে একটি হাটেরও নেই সরকারি অনুমোদন। মরিচা ইউনিয়নে আগে বৈরাগীর চর হাটসহ দুটি ইজারা দেয়া হাট বসলেও এখন বসে একটি। সেখানে বাকি হাট বসে আরো ৩-৪টি।

দৌলতপুর সদর ইউনিয়নে ১০টি হাট বসলেও কোনোটিরই নেই সরকারি অনুমোদন বা ইজারা। আদাবাড়িয়া ইউনিয়নে দুটি হাট ইজারা দেয়া, বাকি অন্তত ৫-৬টি হাট অবৈধ। শুধু এগুলোই নয়, এমন অবৈধ হাটের ছড়াছড়ির চিত্র ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নেরই। সব ইউনিয়নেই ইজারাবিহীন কমবেশি অবৈধ হাট বসে। এর মধ্যে কোনো কোনো হাটে পাওয়া যায় চোরাই পথে আসা ভারতীয় পণ্য।

উপজেলায় ছোট-বড় হাটের সংখ্যা প্রায় ২০০টি। এর মধ্যে ১৫০টিরও বেশি হাট সরকারি ইজারাবিহীন কিংবা অবৈধ প্রক্রিয়ায় চলছে। স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে অবগত থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। হাটগুলো ইজারায় না চালানোর ফলে নিয়মিতভাবে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

হিসাবের বাইরে চলা হাটগুলোতে সরকারি নজরদারি না থাকায় ভোক্তাদের প্রতিনিয়ত নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এছাড়া এসব হাটে নেই কোনো নাগরিক সুবিধা, হয় না বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণ, এমন অভিযোগ সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর।

এমনকি হাটে বসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জোর-জবরদস্তির ঘটনাও ঘটে নিয়মিত। সরকারি ইজারা না থাকলেও হাটগুলোয় তোলা হয় নিয়মিত চাঁদা। মোটা অঙ্কের এই চাঁদার টাকা ভাগাভাগি হয় হাট সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রভাবশালীদের মধ্যে। উপজেলাটিতে অনিয়মের হাটে সৃষ্ট গণ্ডগোলে পুলিশ পর্যন্তও পৌঁছানোর রেকর্ড রয়েছে।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল ওয়াদুদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ইজারা ছাড়াই হাট চলার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোথায় কয়টা অবৈধ হাট চলছে তা যাচাই-বাছাই করে যত দ্রুত সম্ভব এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close