ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

নাইক্ষ‌্যংছড়ি'র ঘুমধুমে সীমান্ত খালের ভাঙ্গনে হুমকির মুখে কোনারপাড়ার ৪০ পরিবার
প্রকাশ: বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪, ১১:০৫ পিএম  (ভিজিট : ১৮০)
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু বাজার পাড়া লাগোয়া মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত খালের ভাঙ্গনে কোনার পাড়ার প্রায় ৪০টি পরিবার হুমকির মুখে পড়েছে। সম্প্রতি সময়ে অতি বৃষ্টি, উজানের ঢল, পাহাড় থেকে নেমে আসা পানির প্রবাহিত স্রোতের তুড়ে সীমান্ত খালের বাংলাদেশ অংশের কোনারপাড়া ভেঙ্গে গেছে। এতে মিয়ানমারের অংশ ভরাট হচ্ছে। 

বাংলাদেশ অংশের পাড় ভেঙ্গে বসত ভিটি হারানোর উপক্রম হয়েছে। পরিবার গুলোতে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে কোনার পাড়ায় বসবাসরত ৪০টি পরিবার ভিটাবাড়ি ছাড়া হওয়ার আশংকা করছেন।

সম্প্রতি সময় অতি বৃষ্টি, উজানের ঢল, পাহাড়ি পানির স্রোতের তুড়ে কোনারপাড়ার প্রায় পরিবারে পানি ঢুকে প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ক্ষতির ক্ষত শোকাতেই অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।

কোনারপাড়ার বাসিন্দা মৃত আবুল কাশেমের ছেলে নুরুল বশর(৪০)। সে পেশায় তুমব্রু বাজারের চটপটি-ফুসকা বিক্রতা। পরিবারে বৃদ্ধা মা, স্ত্রী, দুই সন্তান ও এক ভাইয়ের পরিবার-পরিজনের মাথা গোজাঁর একমাত্র সামান্য বসতভিটি ও একই আঙ্গিনায় দুটি বাড়ি। তৎমধ্যে নুরুল বশরের ঘর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়ির একটি কক্ষের মাটি সরে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ির দুই পাশের টেকসই ওয়ালের মাটি সরে গেছে। বসতভিটির গাছ-পালা উপড়ে গেছে। 

প্রায় পরিবার এমন বন্যা পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। আবারো যদি সীমান্ত খালের ভাঙ্গন শুরু হয়, তাহলে নুরুল বশররের বাড়িটি চিরতরের জন্য খালে বিলিন হয়ে যাবে। নুরুল বশরের মতে আরো প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তার ভাই খাইরুল বশর, মাষ্টার খাইরুল বশর, সিএনজি চালক ইমাম শরীফ কৃষক জাফর আলম ফকির, খাইরুল ইসলাম লালু, অটো রিক্সা চালক নুরুল বশর, হাসান আলী কালু, নুরুল কবির, সুলতান আহমদ, শাহ আলম, মায়া খাতুন, মো. আলম, আব্দুল মোনাফ, দিল মোহাম্মদসহ প্রায় ৪০ পরিবার। বৃষ্টির পানি, উজানের ঢল, পাহাড় থেকে নেমে আসা স্রোতের প্রবাহিত পানির কবল থেকে সীমান্ত খালের ভাঙ্গন রোধ এবং কোনার পাড়া রক্ষায় দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বসতবাড়ি-ভিটি নিশ্চিহ্ন হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। 

ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত নুরুল বশর দুঃখভারাক্রান্ত মনে বলেন, চটপটি-ফুসকা বিক্রির আয়ে ৫/৬ জনের সংসার চলে টেনে-টুনে। একমাত্র সহায় সম্বল বসতভিটি ছাড়া কিছুই নেই। বাড়িটিও আধা ভাঙ্গা হয়ে গেছে। ভিটার গাছ-পালা, ক্ষেতখামার সব পানিতে ডুবে তলিয়ে গেছে। কিছু উপড়ে গেছে। বাড়ির ভিতর ভয়ংকর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যেনো বসবাস করার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এখন চোখে-মুখে কিছুও দেখছিনা। এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারকে বলেছি।

ঘুমধুম ইউপির ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্রো বলেন, কোনার পাড়ার পরিস্থিতি ভালো না। খালের ভাঙ্গনে বিলিন হওয়ার পথে প্রায় ৪০টি পরিবার। এসব পরিবারের ভিটাবাড়ি রক্ষায় টেকসই রক্ষা বাধ নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান (ইউপি)একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, কোনার পাড়ায় ভাঙ্গন এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের বিষয়ে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। দেখা যাক সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তবে আপাততে ঘুরে দাড়াতে ক্ষতিগ্রস্ত ভিটাবাড়ি ও অবশিষ্ট গাছ-পালা রক্ষায় নিজেদের অর্থায়নে সাধ্যমত কাজ করছেন তারা।

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close