ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

থানায় মামলা হলেও কিছুই জানেনা নিহতের পরিবার, স্থানীয়রা বিস্মিত
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪, ৬:৫৮ পিএম  (ভিজিট : ২৪৮)
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় গত ৪ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে পুলিশ বিজিবির গুলিতে ৭ জন নিহত হন। এ ঘটনায় ৩ মামলা হলেও বাকীরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। থানায় রেকর্ড হওয়া মামলার বাদী ও তার পরিবারের অভিযোগ কে বা কারা স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে মামলা করেছে। পুলিশ বলছে, মামলা করতে দেরি হওয়ায় সুযোগ নিচ্ছে দুষ্কৃতকারীরা। তবে বিএনপির মহাসচিব জানিয়েছেন, দলীয় কারো বিরুদ্ধে প্রমাণ মিললেই ব্যবস্থা। 

ছাত্র-আন্দোলনের সময় সিলেটে সবচেয়ে বেশি উত্তাল ছিলো গোলাপগঞ্জ উপজেলা। গত ৪ আগস্ট সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণসহ বিভিন্ন স্থান। ওই দিন সকালে গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রি কলেজের সামনে থেকে ছাত্র-জনতা জড়ো হয়ে বিক্ষোভকালে পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে ছাত্র-জনতার তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ-বিজিবি গুলি, টিয়ার সেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে থাকে। দফায় দফায় সংঘর্ষে ঢাকাদক্ষিণে ১ জন, ধারাবহরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে দুজনসহ ঘটনাস্থলে ৩ জন এবং হাসপাতালে মারা যান ৪ জন। 

নিহতরা হলেন- উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ এলাকার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম, শিলঘাট গ্রামের কয়ছর আহমদের ছেলে সানি আহমদ, বরকোট গ্রামের মকবুল আলীর ছেলে তাজ উদ্দিন, উত্তর কানিশাইল গ্রামের রফিক উদ্দিনের ছেলে ক্বারি মো. কামরুল ইসলাম পাবেল, দত্তরাইল গ্রামের আলাই মিয়ার ছেলে মিনহাজ উদ্দিন, রায়গড় গ্রামের সুরাই মিয়ার ছেলে হাসান আহমদ ও পৌর এলাকার উত্তর ঘোষগাঁয়ের মোবারক আলীর ছেলে গৌছ উদ্দিন।

এদিকে সাত জন নিহতের ঘটনায় ৩টি মামলা হয়েছে গোলাপগঞ্জ থানায়। বাকীরাও। মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সকলের দাবি, দোষীদের বিচারের আওতায় এতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যেনো হয়। তবে গৌছ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও সাবেক স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাবেক পৌর মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলুসহ ১৩৫ জনের নামোল্লেখ করা হয়েছে। তবে বাদী নিহতের ভাতিজা রেজাউল করিম জানান, তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে কে বা কারা এ মামলা করেছেন। এ অভিযোগ সম্পর্কে আমি বা আমার পরিবারের সদস্যরা কিছুই জানেন না।

গৌছ উদ্দিনের ভাই আবুল কালাম বলেন, ‘ফেসবুকে দেখেছি আমার ভাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অনেক নিরীহ লোকককে আসামির তালিকায় রাখা হয়েছে। আমার ভাইয়ের সাথের অনেককে আসামি করা হয়েছে। এসব করলে নিরীহ মানুষের অভিশাপ লাগবে।

ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার মাহমুদুল হাসান বাচ্চু জানান, এ ধরনের ঘটনায় স্থানীয় সকলেই বিস্মিত। গোলাপগঞ্জে অতীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। 

এদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি সিলেট সফরকালে বলেছেন, মামলা নিয়ে কিছু অভিযোগ আছে। মনে হয় না বিএনপির কেউ এমনটা করবে। প্রমাণসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানা ওসি মীর মো. আবদুন নাসের বলেছেন, এ পর্যন্ত তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা এজাহার দায়েরকালে বাদীরা উপস্থিত থাকলেও গৌছ হত্যা মামলার বাদী থানায় আসেনি। মামলা দায়েরে বিলম্বের কারণে দুষ্কৃতকারীরা সুযোগ নিচ্ছে। তদন্তে নির্দোষদের ছাড় দেওয়া হবে। 

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  ছাত আন্দোলন-নিহত   হত্যা মামলা-আসামি   সিলেট  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close